ইউএসএআইডি প্রধান তীব্র আঞ্চলিক খাদ্য সংকটের মধ্যে হর্ন অফ আফ্রিকা সফর করছেন

নাইরোবিতে ২২ জুলাই ইউএসএআইডির প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার ও কেনিয়ার পাবলিক সার্ভিস ক্যাবিনেট সেক্রেটারি মার্গারেট কোবিয়ার একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ কর্মকর্তারা আফ্রিকা শৃঙ্গ বা হর্ন অফ আফ্রিকার দেশগুলিকে ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে রাশিয়ার সরকারের অবরোধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যা ঐ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। কর্মকর্তারা ইথিওপিয়া, সোমালিয়া ও দক্ষিণ সুদানের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবাধে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শীর্ষ স্থানীয় ত্রাণ কর্মকর্তারা পূর্ব আফ্রিকায় তিন দিনের সফরে রয়েছেন। পূর্ব আফ্রিকার প্রায় ২ কোটি মানুষ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং ইউক্রেনীয় খাদ্য রপ্তানি বন্ধের কারণে তীব্র ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।


ঐ অঞ্চলে তাঁর প্রথম যাত্রা বিরতির সময়ে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ইউএসএআইডির প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার বলেন, আঞ্চলিক মানবিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

পাওয়ার সপ্তাহের শুরুতে ইথিওপিয়া, সোমালিয়া এবং কেনিয়ার জন্য নতুন করে ১২০ কোটি ডলার অর্থ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন এবং শুক্রবার তিনি কেনিয়ার খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এই অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

পাওয়ার বলেন, “এটা বিশাল অংকের অর্থ আর এখানে এই পরিমাণ অর্থেরই, প্রয়োজন। আবারও,আমাদের প্রয়োজন যাতে অন্যান্য দাতারাও সাহায্যের জন্য জন্য এগিয়ে আসুক।”


যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনিয়া সর্বসাম্প্রতিক অনুদান হিসেবে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি ডলার পাবে। কেনিয়ায় এ বছরের মার্চে ৩০ লক্ষ ৫হাজার মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল যা এখন প্রায় ৪০ লক্ষ ১০ হাজারে পৌঁছেছে।

হর্ন অঞ্চলে খরার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।

যে মানবিক সংস্থাগুলো ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ায় কাজ করছে তারা সংঘাতের কারণে উভয় দেশের কিছু অংশে প্রবেশ করাকে ঝুঁকিবহুল বলে মনে করছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য, পানি ও ওষুধ পাওয়ার জন্য নিরাপদ এলাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘ ও তুরস্ক ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানিকে অবাধ করার লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে। তবে পাওয়ার বলেছেন, আফ্রিকার দেশগুলোকে রাশিয়ার উপরে চাপ দিতে হবে যাতে রপ্তানি শস্য তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।