ইরানের এক নারী তার মেয়ের মুক্তির জন্য অনুনয় বিনয় করছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ইরানের সংবাদপত্রগুলি বিরল এক পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার দেশটির মোরালিটিপুলিশের সমালোচনা করে। ঐ পুলিশ বাহিনী ইসলামী আইনের প্রতি সম্মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
ঐ ঘটনা কঠোর নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত দিতে পারে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এমন রিপোর্ট করার পরেনারীদের বাধ্যতামুলক ভাবে মাথা ঢেকে রাখা অর্থাৎ হিজাব পড়া নিয়ে জনসাধারণের মাঝে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
মোরালিটি পুলিশ হিজাব আইন এবং অন্যান্য ইসলামি রীতির প্রয়োজনীয়তা বাস্তবায়নের উপর নজর রাখার জন্য রাস্তায় টহল দেয় যাতে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত স্থানে প্রবেশের আগে নারীরা হিজাব পরার নির্দেশ পালন করেন।
২০১৩ সালে মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ক্ষমতায় আসার পর মোরালিটি কর্মকর্তাদের সাধারণ এলাকাগুলোতে অনেক কম দেখা গিয়েছে তবে তার উত্তরসূরি চরম রক্ষণশীল ইব্রাহিম রাইসির অধীনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই বাহিনীর নতুন করে উপস্থিতি লক্ষণীয়।
ইরানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ঐ ভিডিওতে দেখা যায় যে তেহরানের মোরালিটি পুলিশ যারা সাধারণত গাশত-ই এরশাদ নামে বা 'গাইডেন্স প্যাট্রোল' নামে পরিচিত তাদের একটি ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী। তিনি চিৎকার করে বলছিলেন যে তার মেয়ে অসুস্থ ছিল। অভিযোগ করা হয় যে সম্ভবত ঐ ভ্যানে করে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গাড়িটি যখন ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছিল তখন পর্দানশীন ঐ নারী গাড়িটি ধরে রেখেছিলেন ---থামানোর চেষ্টা করছিলেন কিন্তু ভ্যানটি দ্রুত গতিতে চলে যায়।