মালির সামরিক সরকার মালিতে জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র অলিভিয়ের সালগাদোকে সে দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। মালির সরকারকে জাতিসংঘের একটি সেনাদলের সমর্থনে আইভরির ৪৯ জন সৈন্যের আগমনের বিষয়ে জানানো হয়েছিল- তার এমন টুইটের পরে এই আদেশটি আসে।
মালির সরকার দাবি করে যাচ্ছে যে, তারা সৈন্যদের আগমন সম্পর্কে অবহিত ছিল না এবং তারা ১১ জুলাই একটি বিবৃতিতে দাবি করেছিল যে, “মালির পুনরুদ্ধার এবং নিরাপত্তার গতিশীলতা ভঙ্গ করতে” সৈন্যরা মালিতে উপস্থিত হয়েছিল।
সৈন্যরা বামাকোর বিমানবন্দরে আগমনের সাথে সাথে সরকার তাদেরকে “ভাড়াটে সৈন্য” বলে অভিহিত করে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর মালি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মালিতে জাতিসংঘ বাহিনীর সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে। আইভরি কোস্ট সেনাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
মিনাসমা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মালির সেনাবাহিনীকে দেশের বেশিরভাগ অংশে নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়তা করেছে।
জাতিসংঘ এবং মালির সামরিক সরকারের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এপ্রিল মাসে মৌরা শহরে জাতিসংঘকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সেখানে তারা একটি গণহত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে মানবাধিকার বিষয়ে তদন্ত করতে চেয়েছিল।
২৯ জুন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের সময় মালিতে মিনাসমা-এর কর্মক্ষমতা নবায়ন করা হলে জাতিসংঘে মালি প্রতিনিধি বলেছিলেন, মালি সরকার জাতিসংঘকে কোনো মানবাধিকার তদন্ত করার অনুমতি দেবে না।