তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রির সাম্প্রতিকতম বাধা দূর হয়েছে। তবে কিছু সমালোচক বলেছেন, এটি পূর্ব এশিয়ার গণতন্ত্রকে চীনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে যথেষ্ট নয়।
পেন্টাগনের অনুমোদনের পর বিক্রয়টি অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চলে যায়। পাশ হলে এটি হবে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে পঞ্চম বিক্রয় এবং এই বছরে অনুমোদিত চতুর্থ বিক্রয়।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ঝাং ডানহান বলেছেন, “তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা চাহিদার প্রতি গুরুত্ব প্রদর্শন এবং নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তাইওয়ান কৃতজ্ঞ।”
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ানের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ১৯৭৯ -র তাইওয়ান সম্পর্ক আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে সহায়তা করার জন্য অনুমোদিত। পূর্ববর্তী সহায়তার বেশিরভাগে অস্ত্র বিক্রি এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিক্রিতে ত্বরিৎ আপত্তি জানায়। একজন মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল তান কেফেই বলেছেন, এই বিক্রয় চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং “চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে।”
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি স্ব শাসিত গণতন্ত্র তাইওয়ানকে একটি বিপথগামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে বেইজিং সরকার কখনো সরাসরি দ্বীপটি শাসন করেনি। চীন প্রায়শই তাইওয়ান এবং বিদেশি সরকার বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যেকোনো মিথস্ক্রিয়ায় আপত্তি জানায়।