বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস, জুনে বাংলাদেশে আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি নিয়ে, জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা বিবিএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় যে, মে মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশে পৌঁছায়, জুনে সূচকটি আরও শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
এর অর্থ হল, ২০২১ সালের জুন মাসে যে পণ্য বা পরিষেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হয়েছিল, ২০২২ সালের জুনে একই পণ্য বা পরিষেবার জন্য ১০৭ দশমিক ৫৬ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে, মুদ্রাস্ফীতির গড় হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। যা আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে গত আর্থিক বছরে এটি ছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশের নিচে।
২০২২ সালের জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মে মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে সামগ্রিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। সে বছর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
২০১২-১৩ অর্থবছরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৭০ শতাংশে নেমে আসে। ঐ বছর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
জুন মাসে বোরো চাল, আটা, মুগডাল, গুড়, রুই মাছ, ইলিশ, শিং জাতীয় মাছ, মাংস, ডিম ও দুধের দাম বেড়েছে। সয়াবিন, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু, কাঁচা মরিচ, পেঁপে, দুধ, কাপড়, মেলামাইনের পাত্রের দামেও ঊর্ধ্বগতি। এছাড়া, এ মাসে সিমেন্ট, কেরোসিন, নারকেল তেল, সিগারেট, সাদা মরিচের দামও বেড়েছে।