শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুইজন প্রধান প্রার্থী

কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের কাছে শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকা হাতে এক ব্যক্তি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে স্লোগান সম্বলিত হেডব্যান্ড পরেছেন। ১৭ জুলাই, ২০২২। ফাইল ছবি।

শ্রীলঙ্কায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট রানিল বিক্রমাসিংহে এবং প্রাক্তন মন্ত্রী দুল্লাস আলাহাপেরুমা একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক পতনের মুখোমুখি হওয়া এবং মাসব্যাপী গণবিক্ষোভের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির নেতৃত্ব কে দেবে তার সিদ্ধান্ত নেয়া হবের

বুধবার ২২৫ জন সংসদ সদস্য একটি গোপন ব্যালটে ভোট দেবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার এক সপ্তাহ পরে ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রায় দুই দশক ধরে দেশ শাসনকারী একটি শক্তিশালী রাজবংশের অবসান ঘটবে।

বিক্রমাসিংহে একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী, তার ক্ষমতাসীন দলের একটি উপদলের সমর্থন রয়েছে যা সংসদের বৃহত্তম দল। কিন্তু তাকে রাজাপাকসের মিত্র হিসেবে দেখা হয়, তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয়। তারা মঙ্গলবার রাজাপাকসের প্রার্থীতার বিরোধিতা করতে বিক্ষোভ করেছিল।

বিক্রমাসিংহে দুল্লাস আলাহাপেরুমার মুখোমুখি হবেন। দুল্লাস ৫ বারের আইনপ্রণেতা এবং রাজাপাকসে প্রশাসনের প্রাক্তন মন্ত্রী । এপ্রিল মাসে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে তার মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়ার পরে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।

দেশের নতুন নেতা গোটাবায়া রাজাপাকসের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্থাৎ ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।

তিনি এমন একটি দেশের দায়িত্বে থাকবেন যা একটি সংকট থেকে কীভাবে পুনরুদ্ধার করবে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। মূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রীলঙ্কায় লাখ লাখ মানুষের খাদ্যের অভাব, ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে এবং দেশটিতে জ্বালানির জন্য কয়েক দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।