স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের নানা পরিকল্পনা

স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ৮টি বিভাগীয় হাসপাতালে ১০০ শয্যার ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করার। এছাড়া, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

সরকারি নথি অনুযায়ী, সৌদি আরব সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্পের আওতায়, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট স্থাপন শুরু হয়েছে। এছাড়া, জেলা সদর পর্যায়ে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ‘মেডিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

নথিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যার বিশ্বমানের আধুনিক হাসপাতালের পুনর্নির্মাণ ও রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। এছাড়া, পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ের মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

নথিতে বলা হয়, মহাখালীতে বঙ্গবন্ধু হেলথ সিটি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।বর্তমানে মহাখালীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও সেখানে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিস, কমিউনিটি ক্লিনিক অফিস, বিএমআরসি ভবন এবং আরও কিছু স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল রয়েছে।

নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ ১৬টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৯টি জেলা সদর হাসপাতালে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বিদ্যমান ১০৩টি কেন্দ্রের পাশাপাশি, নতুন ২১১টি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। বর্তমানে, ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিবন্ধীরা, ৪০টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে চিকিৎসা-সেবা পাচ্ছেন।

“ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার কভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে হেলথ প্রোটেকশন ল প্রণয়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য তৈরি করা হয়েছে ইনফেকশন প্রোটেকশন গাইডলাইন; উল্লেখ করা হয় নথিতে। এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে সরকারি আউটডোর ডিসপেনসারি অপারেশনাল গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসসহ সব ধরনের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বাংলাদেশে একটি উচ্চমানের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশনা অনুযায়ী, শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি গোপালগঞ্জে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।