ফ্রান্স জুড়ে তীব্র তাপদাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে সোমবার দেশটি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় ছিল। ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমের কিছু অংশে জ্বলতে থাকা দাবানলও প্রশমিত হওয়ার কোন আভাস দেখতে পাওয়া যায়নি।
তীব্র তাপমাত্রার কারণে ফ্রান্সের ১৫টি ডিপার্টমেন্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে, প্রতিবেশী ব্রিটেনও আসন্ন সপ্তাহে নতুন রেকর্ড তাপমাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের অংশবিশেষে দ্বিতীয় তাপপ্রবাহ। এদিকে, ফ্রান্স, গ্রীস, পর্তুগাল ও স্পেনে জ্বলতে থাকা আগুনে হাজার হাজার হেক্টর এলাকা ভস্ম হয়ে গিয়েছে এবং হাজার হাজার বাসিন্দা ও ছুটি কাটাতে আসা মানুষজনকে তা পালাতে বাধ্য করেছে।
বিজ্ঞানীরা এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন। আরও ঘনঘন ও তীব্রতর পর্যায়ের তাপপ্রবাহ ও খরার মত চরম আবহাওয়ার আভাস দিয়েছেন তারা।
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমের অ্যাকুইটেইন অঞ্চলের ল্যান্ডেস বনাঞ্চলে তাপমাত্রা “৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঊর্ধ্বে থাকবে” বলে সোমবার আবহাওয়াবিদ অলিভিয়ে প্রাউস্ট জানান।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ব্রিটানি-তে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে, যা ঐ অঞ্চলের জন্য রেকর্ড তাপমাত্রা। ব্রিটানি সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত এবারের চরম তাপপ্রবাহ থেকে বেঁচে ছিল।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিরোন্ডে অঞ্চলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহান্ত জুড়েই কাজ চালিয়ে গিয়েছেন দমকলকর্মীরা। মঙ্গলবার থেকে এই দাবানলে প্রায় ১১,০০০ হেক্টর এলাকা পুড়ে গিয়েছে।
একই সময়ে স্পেনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আরম্ভ করে দূর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গ্যালিসিয়া পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সেখানে দাবানলে প্রায় ৪,৫০০ হেক্টর এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
সেখানে আগুনে গত সপ্তাহ থেকে ইতোমধ্যেই একাধিক বেসামরিক মানুষ ও জরুরি পরিষেবা কর্মী নিহত হয়েছেন। সর্বসাম্প্রতিক ঘটনায়, স্পেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় রবিবার দিনের শেষদিকে এক দমকলকর্মী নিহত হন।