সিরাজগঞ্জে চলতি বন্যায় কৃষকের ১৪০ কোটি টাকার ফসল ক্ষতি হয়েছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় জেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৬৫ হাজার কৃষকের ১২ হাজার ৫৯৯ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে সাত হাজার ৭৪১ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, তিল, গ্রীষ্মকালীন সবজি, আখ, ভুট্টা, গ্রীষ্মকালীন মরিচ, রোপা আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এসব ফসলের বর্তমান বাজার মূল্য ১৪০ কোটি টাকারও বেশি।
চরাঞ্চলের কৃষক আব্দুর রহিম, আনোয়ারসহ অনেকেই বলছেন, এবার বন্যায় পাট, আখ, তিল, মরিচ, রোপা আমন, বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব ফসল পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব ফসলের সম্পূর্নই ক্ষতি হয়েছে। সরকারি সহযোগীতায় কৃষকদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার দাবী জানানো হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রস্তুম আলী ও কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, "বন্যায় চরাঞ্চলের দুটি উপজেলার ৩৭ হাজার ৭৮৪ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ক্ষতির বিবরণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।"
কৃষি কর্মকর্তরা জানান, জেলার চলনবিল এলাকার উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বন্যায় ওই পাঁচটি উপজেলার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকেরা নানা চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ শুরু করছে। এর মধ্যে অনুমোদন পেলে আগামী রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রনোদনা দেয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার বলেন, "বন্যায় ওই পাঁচটি উপজেলার কৃষকের উল্লেখিত টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা দেয়া হবে।"