সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জয়নাল মিয়া জানান, “সুনামগঞ্জ-দোয়ারা-ছাতক সড়কের মান্নারগাঁও এলাকার পুটিপুসি সড়কে, বান্দেরবাজার যাওয়ার আগে গভীর খাল হয়ে গেছে, ওখানে এখন নৌকা চলে। এছাড়া, ডাউকাখালি-ব্রাহ্মণগাঁও-আমবাড়ী সড়কে ব্যবহৃত বিটুমিন ও পাথর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এই এলাকায় আগে রাস্তা ছিল, এখন আর তা বোঝা-ই যায় না।”
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবির জানান, “সুনামগঞ্জ-সাচনা-জামালগঞ্জ সড়কের খুব খারাপ অবস্থা। রাস্তাটিতে অনেক বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। চারদিকে পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যার ফলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
মোটরসাইকেল চালক জগন্নাথ রায় জানান, “সাচনাবাজার থেকে সড়কপথে সুনামগঞ্জ যেতে ৪০ মিনিট সময় লাগতো। একই যাত্রায় এখন প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগছে।”
সুনামগঞ্জ-দিরাই-শাল্লা সড়ক ও বিশ্বম্ভরপুর-রাধানগর-চালবাঁধ সড়কের অবস্থাও একই রকম। সবখানে বড় বড় গর্ত।”
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, “জেলার সদর ও অন্যান্য উপজেলার মধ্যে প্রায় ১৮৪ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৩০টি সেতু ও কালভার্টের অ্যাপ্রোচ ভেঙে গেছে। ৩০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।”
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, “সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ১২০টি সেতু ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”