চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এই সপ্তাহে হংকং সফরে আসার পর তার সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলেন দেশটির একজন আইনপ্রণেতা। আজ রবিবার তিনি নিশ্চিত করেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তার পজিটিভ ফল এসেছে।
করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর প্রথমবারের মত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে কোনো জায়গায় সফরে এলেন দেশটির নেতা শি জিনপিং। ব্রিটেনের কাছ থেকে হংকং হস্তান্তরের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে তার এই সফর।
হংকং-এর সর্ববৃহৎ বেইজিংপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতা স্টিভেন হো (৪২) শহরের রবার স্ট্যাম্প লেজিস্লেচারের অন্যতম সদস্য। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনিসহ মোট ১০০ কর্মকর্তা শি-র কাছাকাছি থেকে গ্রুপ ছবি তোলার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান।
শি-র সফর চলাকালে ডিএবি দলের দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে হো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
বেইজিংয়ের সংসদে হংকংয়ের একমাত্র প্রতিনিধি ট্যাম ইউ-চাং-এরও বৃহস্পতিবার করোনা ধরা পড়ে। ফলে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে একমাত্র চীনই এখনও জিরো কোভিড নীতি অবলম্বন করছে, যার মধ্যে আছে নতুন ঢেউ আসলে তার প্রতিকার, স্ন্যাপ লকডাউন জারি ও গণপরীক্ষণের ব্যবস্থা করার মত উদ্যোগ।
প্রায় ৯০০ দিন পর শি দেশের সীমানা পেরোলেন। এই পুরো সময় দেশটির সীমান্ত বাইরের মানুষের জন্য বন্ধই ছিল বলা যায়।
হংকং কিছুটা শিথিলভাবে জিরো কোভিড প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে। মহামারির সময় দেশটিতে বেশি যাতায়াত ও গণজমায়েত সীমিত রাখা হয়েছে।
তবে শি-র সফরকালে সেখানে নজিরবিহীন কঠোর নিয়ম জারি করা হয় যাতে করোনাভাইরাস এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, কেউই তার ধারে কাছে আসতে না পারে।
শত শত সরকারি কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিদের একটি কোভিড-বিরোধী ‘বলয়’ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগ সীমিত রাখা হয়। তাদেরকে প্রতিদিন পিসিআর টেস্ট করাতে হয়েছে এবং সফর শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই তারা কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য হন।
শি-র সফর চলাকালে শহরের অংশবিশেষ বন্ধ রাখা হয়। ভিন্নমতাবলম্বীদের কঠোর পুলিশী নজরদারিতে রাখা হয়। এছাড়াও, বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে এই অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করা থেকে বিরত রাখা হয়।