সামরিক শাসনের অবসানের দাবিতে সুদানের শত শত মানুষ রবিবার পর পর চতুর্থদিনের মত রাজধানী খার্তুম ও তার শহরতলীগুলোতে রাস্তায় নেমে আসেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হওয়া গণর্যালিগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতায় নয়জনের মৃত্যু হয়। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে এ দিনটিই ছিল ভয়াবহতম দিন। গত অক্টোবরে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দীর্ঘসময় ধরেই বিক্ষোভ চলমান রয়েছে।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে মানুষজনকে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দিতে ও রাস্তায় ইট দিয়ে অবরোধ তৈরি করতে দেখা যায়। অপরদিকে, নিরাপত্তা বাহিনী তাজা বুলেট ব্যবহার, ব্যাপক হারে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং শক্তিশালী জলকামান ব্যবহার করেছে বলে চিকিৎসকরা ও জাতিসংঘ জানিয়েছে।
বেসামরিক শাসনের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়াটি পুনর্বহাল করার দাবি বিক্ষোভকারীদের। দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমার আল-বশির ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একটি বেসামরিক সরকার গঠনের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়াটি আরম্ভ হয়। গত বছরের সামরিক অভ্যুত্থান সেই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে।
মুআয়াদ মোহামেদ নামে এক বিক্ষোভকারী মধ্য খার্তুমে এএফপি-কে বলেন, “অভ্যুত্থানের অবসান না হওয়া পর্যন্ত এবং সম্পূর্ণ বেসামরিক সরকার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
গত বছরের অভ্যুত্থানের পর থেকে, বিক্ষোভ সংশ্লিষ্ট সহিংসতার কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১৪ তে গিয়ে পৌঁছেছে। শনিবার সর্বশেষ নিহতের খবর পাওয়া যায়। ১৬ জুন অনুষ্ঠিত এক র্যালিতে আহত এক ব্যক্তির সেদিন মৃত্যু হয় বলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।