উজবেকিস্তানের কর্তৃপক্ষ শনিবার জানায় যে, দেশটির কারাকালপাকস্তান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রে এক বিরল গণবিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির মর্যাদা পরিবর্তন করে সংবিধান সংশোধনের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এমন বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।
কারাকালপাকস্তান উজবেকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানকার বাসিন্দারা কারাকালপাক নামে পরিচিত। কারাকালপাক হল এক স্বতন্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী যাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। উজবেকিস্তানের বর্তমান সংবিধানে অঞ্চলটিকে উজবেকিস্তানের অভ্যন্তরীণ একটি সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, যাদের গণভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উজবেকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার অধিকার রয়েছে।
সংবিধানের সংশোধিত সংস্করণে কারাকালপাকস্তানকে আর সার্বভৌম হিসেবে বিবেচনা করা হবে না বা তাদের পৃথক হয়ে যাওয়ার অধিকার থাকবে না। আগামী মাসগুলোতে ঐ সংশোধিত সংবিধানের বিষয়ে একটি গণভোটের পরিকল্পনা করছে উজবেকিস্তান।
উজবেকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, “সাংবিধানিক সংশোধনী বিষয়ে এক ভুল বোঝাবুঝির ফলশ্রুতিতে” কারাকালপাকস্তানের একদল বাসিন্দা ঐ অঞ্চলের রাজধানী নুকুস-এ মিছিল করে এবং শহরের কেন্দ্রীয় বাজারে শুক্রবার একটি সমাবেশ করে।
পৃথকভাবে, কারাকালপাকস্তানের সরকার এক বিবৃতিতে জানায় যে, বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবনগুলোর দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে পুলিশ পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করে এবং তাদের নেতাদের ও যারা সক্রিয়ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদেরকে আটক করে।
প্রদেশটিতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বলে উজবেকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রদেশটির লোকসংখ্যা ২০ লক্ষ। উজবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক এক প্রজাতন্ত্র । দেশটির রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।