সুদানে বিদ্রোহের বার্ষিকীতে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশে সাতজন নিহত

বিক্ষোভকারীরা সুদানের খার্তুমে বিক্ষোভের ৩য় বার্ষিকী স্মরণে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে একটি সমাবেশে অংশ নেয়। ৩০ জুন, ২০২২।

চিকিত্সকরা বলেছেন, বৃহস্পতিবার সুদানে সাতজন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আট মাস আগে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সমাবেশ করতে কড়া নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ ব্ল্যাকআউট সত্ত্বেও বিশাল জনতা রাস্তায় নেমেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে , নিরাপত্তা বাহিনী বিকেলে কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ছুড়েছে যখন তারা বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল।

রাজধানী এবং অন্যান্য শহরে বিক্ষোভগুলি, বিদ্রোহের সময় বিশাল বিক্ষোভের তৃতীয় বার্ষিকীকে চিহ্নিত করেছে। তিন বছর আগে দীর্ঘকালের স্বৈরাচারী শাসক ওমর আল-বশিরকে উৎখাত করা হয়েছিল এবং বেসামরিক গোষ্ঠী ও সামরিক বাহিনীকে নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির দিকে পরিচালিত করেছিল।

গত অক্টোবরে, জেনারেল আব্দেল-ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী অন্তর্বতী সরকারের পতন ঘটায়। এতে করে সেনাবাহিনীকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ শুরু হয়।

সন্ধ্যায়, বাহরি এবং খার্তুমে বিক্ষোভকারীরা বলেছে যে তারা বৃহস্পতিবারের মৃত্যুর বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক দিনের মৃত্যুর মধ্যে একটি।

১৯৮৯ সালের ৩০ জুন হচ্ছে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বশিরের ক্ষমতা গ্রহণেরও দিন।

কয়েক মাস বিক্ষোভের মধ্যে এই প্রথম ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ করা হল। সামরিক অধিগ্রহণের পর, প্রতিবাদ আন্দোলনকে দুর্বল করার আপাত প্রচেষ্টায় বর্ধিত ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট আরোপ করা হয়েছিল।

সুদানের দুটি বেসরকারি খাতের টেলিকম কোম্পানির কর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ তাদের বৃহস্পতিবার আবারও ইন্টারনেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

সুদানের ভিতর ফোনের লাইনও কেটে দেওয়া হয়েছিল, এবং নিরাপত্তা বাহিনী খার্তুম, ওমদুরমান এবং বাহরিকে সংযুক্ত করা নীল নদের উপর সেতু বন্ধ করে দেয়, যা সাধারণত বড় প্রতিবাদের দিনে মিছিলকারীদের চলাচল সীমিত করার জন্য নেওয়া আরেকটি পদক্ষেপ।