মাইক্রোসফট বুধবার একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লাগামহীন সাইবার আক্রমণের সাথে সাথে, রাষ্ট্র-সমর্থিত রাশিয়ার হ্যাকাররা কিয়েভকে সমর্থনকারী ৪২টি দেশের সরকার, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ব্যবসা এবং সহায়তা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে "কৌশলগত গুপ্তচরবৃত্তি"তে জড়িত আছে।
মাইক্রোসফট প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ লিখেছেন, "যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, ইউক্রেনের মিত্রদের লক্ষ্যবস্তু করে রাশিয়া ২৯ ভাগ সফল হয়েছে।" তিনি আরও লেখেন যে অনুপ্রবেশে সফল টেওয়ার্কের অন্তত এক চতুর্থাংশের উপাত্ত চর করা হয়েছে।
স্মিথ বলেন, "ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য দেশগুলির একটি জোট একত্রিত হওয়ায়, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইউক্রেনের বাইরে মিত্র সরকারগুলিকে লক্ষ্য করে নেটওয়ার্ক অনুপ্রবেশ এবং গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম বাড়িয়েছে," ।
সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে নেটো সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে। যুক্তরাষ্ট্র ছিল প্রধান টার্গেট এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক সহায়তার প্রধান বাহক পোল্যান্ড ছিল দ্বিতীয় টার্গেট। গত দুই মাসে, লক্ষ্যবস্তুতে ধাপে ধাপে পরিণত করা হয়েছে ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং তুরস্ককে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যতিক্রম হল এস্তোনিয়া, যেখানে মাইক্রোসফট বলেছে যে রাশিয়া ২৪শে ফেব্রুয়ারী ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়ার কোনও সাইবার অনুপ্রবেশ সনাক্ত হয়নি। মাইক্রোসফট এস্তোনিয়ার ক্লাউড কম্পিউটিংকে কৃতিত্ব দিয়েছে, যেখানে অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করা সহজ। মাইক্রোসফট বলেছে, "অন্যান্য ইউরোপীয় সরকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সম্মিলিত প্রতিরক্ষামূলক দুর্বলতা রয়ে গেছে", তবে মাইক্রোসফ্ট সে দেশগুলোর নাম বলেনি।
২৮ পৃষ্ঠার রিপোর্ট অনুসারে ১২৮টি সংস্থার অর্ধেক সরকারি সংস্থা এবং ১২ ভাগ বেসরকারি সংস্থা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বা মানবিক গোষ্ঠী৷ অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে টেলিযোগাযোগ, শক্তি এবং প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি।