রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) দ্বারা পরিচালিত একটি তদন্ত এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে প্রখ্যাত ইউক্রেনীয় ফটোগ্রাফার এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা ম্যাকস লেভিন, এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন সৈনিককে মার্চ মাসে কিয়েভের কাছে রাশিয়ার সৈন্যরা হত্যা করেছে। তারা তখন সেখানে হারিয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফিক যন্ত্রের একটি অংশ খুঁজছিল।
প্যারিস-ভিত্তিক আরএসএফ একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে ২৪ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পরিচালিত তাদের তদন্তের পাশাপাশি প্রাপ্ত তথ্য এবং প্রমাণগুলি ইঙ্গিত করে যে লেভিন এবং অলেক্সি চেরনিশভকে ১৩ মার্চ কিয়েভের কাছে মোশচুন গ্রামের আশেপাশের একটি জঙ্গলে রুশ সৈন্যরা হত্যা করেছে। “সম্ভবত জিজ্ঞাসাবাদ এবং এমনকি নির্যাতনের পরে তাদের হত্যা করা হয়।”
আরএসএফ-এর তদন্ত ডেস্কের প্রধান আর্নাউড ফ্রগার এবং ফরাসি যুদ্ধের ফটো রিপোর্টার প্যাট্রিক চাউভেল যিনি ইউক্রেনে লেভিনের সাথে কাজ করেছিলেন, তাদের দ্বারা পরিচালিত এই তদন্ত এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে লেভিন ব্যবহৃত একটি ড্রোন সনাক্ত করার চেষ্টা করার সময় লেভিন এবং চেরনিশভ, রাশিয়ান সৈন্যদের দ্বারা বন্দী হয়। এই ড্রোনটি লেভিন ব্যবহার করেছিলেন ইউক্রেনে ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসনের দৃশ্য ধারণ করতে।
আরএসএফ বলেছে যে বুলেট, পরিচয় নথি, ঘটনাস্থলে রাশিয়ার সৈন্যদের উপস্থিতি, প্রত্যয়িত ডিএনএ ট্রেস সহ নানা আইটেম, লেভিনের পোড়া ফোর্ড ম্যাভেরিক গাড়ি এবং অন্যান্য জিনিস সহ সংকলিত প্রমাণগুলি দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে লেভিন এবং তার দেহরক্ষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আরএসএফ মহাসচিব ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার বলেন, "অপরাধের দৃশ্যের ছবি বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলে করা পর্যবেক্ষণ এবং উদ্ধারকৃত বস্তুগত প্রমাণগুলি স্পষ্টভাবে একটি মৃত্যুদণ্ডের দিকে ইঙ্গিত করে যা জিজ্ঞাসাবাদের আগে বা এমনকি নির্যাতনের পরও হতে পারে,"।