কাবুলে শিখ মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস

আফগানিস্তানের কাবুলে একটি শিখ মন্দিরে হামলার সময় একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির বিস্ফোরণস্থলে একজন তালিবান যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছে। ১৮ জুন, ২০২২।

আফগানিস্তানের কাবুলে একটি শিখ মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী। ঐ হামলায় অন্তত একজন উপাসক নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছে।

আইএস গোষ্ঠী শনিবার গভীর রাতে তাদের আমাক ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে। এতে বলা হয়েছে, “শিখ ও হিন্দু মন্দিরে” হামলাটি ভারতীয় সরকারের একজন কর্মকর্তা কর্তৃক ইসলাম ধর্মের মহানবী মুহাম্মদের বিরুদ্ধে করা কথিত অবমাননার প্রতিক্রিয়া হিসেবে করা হয়েছে। এতে কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বন্দুকধারীরা শনিবার সকালে গুরুদুয়ারা নামে পরিচিত শিখ উপাসনালয়ে হামলা চালায় এবং ভবনটিকে রক্ষা করতে চাওয়া তালিবান যোদ্ধা ও হামলাকারীদের মধ্যে গোলাগুলি হয় বলে আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার গভীর রাতে টুইট করেছেনঃ “কাবুলের কার্তে পারওয়ান গুরুদুয়ারায় কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলায় হতবাক।”

মোদী আরও লিখেন, “আমি এই বর্বর হামলার নিন্দা জানাই, এবং ভক্তদের নিরাপত্তা ও মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি।"

২০২০ সালের মার্চ মাসে এক আইএস বন্দুকধারী একা কাবুলের ভিন্ন একটি শিখ মন্দিরে তাণ্ডব চালিয়ে, একজন শিশুসহ ২৫ জন উপাসককে হত্যা করে এবং আরও ৮ জনকে আহত করে।

২০২০ সালের হামলার সময়, আফগানিস্তানে ৭০০ জনেরও কম শিখ ও হিন্দু ছিল। এরপর থেকে অনেক পরিবার আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেলেও, আর্থিকভাবে সক্ষম না হওয়ায় অনেকে আফগানিস্তান ছাড়তে পারেননি। তারা প্রধানত কাবুল,জালালাবাদ এবং গজনীতে বসবাস করেন।