বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহুবিবাহের প্রবণতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। মানবাধিকারকর্মীদের বিশ্লেষণমূলক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা জেনেভা-ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অ্যাসেসমেন্ট ক্যাপাসিটিস প্রজেক্টের (এসিএপিএস) পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আইনগত সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে।
মে মাসের শুরুতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ভয়েস অফ আমেরিকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বহুবিবাহের পরিস্থিতি ও প্রভাব বুঝতে ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট মানবাধিকারকর্মী, বিশেষজ্ঞ এবং কয়েক জন স্থানীয় কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে।
আইনি সীমাবদ্ধতা
২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ক্যাম্পের দিনগুলোতে তাদের জীবনযাপনের ধরনে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি পারিবারিক জীবনেও ফেলেছে নেতিবাচক প্রভাব। এসিএপিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহুবিবাহের প্রথা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আগে থেকে চালু থাকলেও মিয়ানমারের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ানো কঠিন ছিল। বিভিন্ন এনজিও এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে চলে আসার পর ক্যাম্পে গত চার বছরে এই প্রবণতা বেড়েছে।
মিয়ানমারে বিয়ের নিবন্ধনের জন্য রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হতো। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে স্থানীয় প্রশাসন রাখাইন প্রদেশের মুসলিমদের জন্য বিশেষ একটি আদেশ জারি করে। ওই আদেশ অনুযায়ী, বিয়ের আগে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর অনুমতি নিতে হতো। এরপর ২০০৫ সালে আরেকটি নিয়ম জারি হয়। সেই নিয়মে বিয়ের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অনুমতির বিধান রাখা হয়। প্রক্রিয়াগুলো শেষ করতে করতে রোহিঙ্গাদের অনেক অর্থ ব্যয় হয়ে যেতো। তার এক দশক পর, ২০১৫ সালে মিয়ানমার একবিবাহ আইন পাস করে। একসঙ্গে একের বেশি স্ত্রী থাকা তখন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। একাধিক বিয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেলের শাস্তি রাখা হয় আইনে। বিশ্লেষকদের মতে, মূলত মুসলিমদের জন্যই এই আইন করেছিল মিয়ানমার। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর ক্যাম্পের ভেতরে আইনের এত বাধ্যবাধকতা কিংবা কঠোরতায় তাদের পড়তে হচ্ছে না।
রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার বাঙালিদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে। ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্রে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া কোনো কাজী রোহিঙ্গাদের বিয়ে নিবন্ধন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া ২০১৮ সালে ক্যাম্প ইন চার্জ (সিআইসি)-কে শরণার্থী শিবিরে বিয়ের রেকর্ড এবং নথি সংরক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়। মোবাইল কোর্টের অধীনে একজন ক্যাম্প ইনচার্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পান।
মুসলিম আইনে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে আগের স্ত্রীর অনুমতির বিধান আছে। পাশাপাশি তিনি ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’ একাধিক বিয়ে করতে পারবেন, যদি সব স্ত্রীকে সমানভাবে রাখতে পারেন। শর্তগুলো পূরণ না করলে বিয়ে বৈধতা পাবে না। কিন্তু এসিএপিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা পুরুষেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইনকানুন না মেনেই বহুবিবাহ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "রোহিঙ্গারা এগুলো লুকিয়ে করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের জানার উপায় থাকে না। বহুবিবাহের প্রবণতা তাদের মধ্যে আগে থেকেই আছে।"
নারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "অভিযোগ ক্যাম্পে আসে। তখন ইনচার্জরা ব্যবস্থা নেন।"
ক্যাম্প ইনচার্জদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে কক্সবাজারের ৯ নম্বর ক্যাম্পের ইন-চার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো: তানজীমের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আমাদের প্রচলিত আইনে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি লাগে। অনুমতি না থাকলে কখনোই আবার বিয়ে করা যায় না। অনুমতি নিয়ে বিয়ে নিবন্ধনের আবেদন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমি পাইনি।"
কেউ বিয়ে নিবন্ধনের আবেদন করলে কীভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "নথিতে তার নাম লেখা থাকে। আগে বিয়ে থাকলে তখন জানা যায়। আমরা ক্যাম্পেও খোঁজ-খবর নেই।"
রোহিঙ্গাদের বহুবিবাহের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে আরও বড় পরিসরে জরিপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অভিবাসন ও উদ্বাস্তু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সি আর আবরার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহুবিবাহ বেড়েছে কি না, বাড়লেও বর্তমান পরিস্থিতি কেমন-সেটি জরিপ ছাড়া বলা কঠিন। তবে এটা ঠিক একটা জনগোষ্ঠী পেশাগত কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত না হলে তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আসে। তখন বহুবিবাহ বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে।"
ত্রাণে নির্ভরতা
ক্যাম্পের অধিকাংশ রোহিঙ্গার সংসার চলে ত্রাণের অর্থে। সেক্ষেত্রে সংসার চালাতে খুব একটা কাজ করতে হয় না ক্যাম্পের পুরুষদের। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শিবিরে বহুবিবাহের এটি বড় একটি কারণ।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে না। একটা প্রবাদের মাধ্যমে বিষয়টি ভালো বোঝা যাবে ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।’ কাজ না থাকার কারণে, চিন্তার ক্ষেত্রে দৈন্যতার কারণে, সামাজিক বিধিবিধানের শিথিলতার কারণে তারা বহুবিবাহে জড়িয়ে পড়ছে।... এর ফলে সামাজিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, কলহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কখনো কখনো এটা সংঘাতের দিকেও ধাবিত হচ্ছে। বহুবিবাহের এই প্রবণতা ভবিষ্যতে সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে বাধা হিসেবে কাজ করবে।’’
যৌতুকের ঝামেলা কম
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এসিএপিএস-এর গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যাম্পের পরিবারগুলো মেয়েদের বেশি দিন নিজেদের কাছে রাখতে চায় না। কিন্তু যৌতুক ছাড়া পাত্র পাওয়া কঠিন। অবিবাহিত ছেলেরা যৌতুক ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হন না। অন্যদিকে বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ঝামেলা কম। যৌতুক ছাড়াই অধিকাংশ সময় তারা বিয়েতে রাজি হয়ে যান।
ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) পদ্ধতির এই গবেষণায় অংশ নেয়া নারীরা নিজেদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কাজ না থাকায় অনেক পুরুষ সময় কাটাতে একাধিক বিয়ে করেন।
সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন
একাধিক স্ত্রী থাকার কারণে রোহিঙ্গা সমাজে লিঙ্গভিত্তিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর একটি প্রতিবেদনের তথ্য উদ্ধৃত করে এসিএপিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষেরা সব স্ত্রীকে সমানভাবে আর্থিক সুবিধা দিতে না পারার কারণে পরিবারে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারানোর শঙ্কায় থাকেন। তখন ‘বেশি সম্মানের’ আশায় অনেক পুরুষ দ্বিতীয় বিয়েতে ঝুঁকে পড়েন।
মিয়ানমারে থাকার সময় রোহিঙ্গা নারীরা সাধারণত বাড়ির কাজই করতেন। কিন্তু ক্যাম্পে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সহায়তায় তারা বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গী হয়ে নেতৃত্ব গুণ বাড়াচ্ছেন। তখন তারা পুরুষের নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য না করে প্রতিবাদ করছেন। এতে ঘরের ভেতর সহিংসতা বাড়ছে।
ছেলে কম, মেয়ে বেশি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বহুবিবাহের অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত জন্মহারে প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে লিঙ্গ ভারসাম্য। এতে অবিবাহিত নারীর সংখ্যা কমাতে পুরুষেরা অতি উৎসাহিত হচ্ছেন।
জাতিসংঘের ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ক্যাম্পে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের চেয়ে নারীদের সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। পুরুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে নানা কারণ রয়েছে: মিয়ানমার প্রশাসনের হাতে অনেকে মারা গেছেন, অনেকে আবার কাজের খোঁজে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া পাড়ি দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি অনেকে।
সামাজিক মর্যাদা
রোহিঙ্গা কমিউনিটির অনেকে মনে করেন, একাধিক স্ত্রী থাকা সম্মানের। এরা অবৈধ কর্মকাণ্ডেও বেশি জড়ান। রোহিঙ্গা নারীদের অভিযোগ, এই ধরনের পুরুষের সংখ্যা এখন বাড়ছে। তারা প্রায়ই প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে আবার বিয়ে করছেন। অনেক ক্ষেত্রে ডিভোর্স না দিয়েই তারা বহুবিবাহের পথে হাঁটছেন।
ধর্মীয় আইনের ভুল ব্যাখ্যা
ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে (এফজিডি) অংশ নেয়া নারীরা জানিয়েছেন, ধর্মীয় আইনের যথাযথ গাইডলাইনের অভাবে এবং বিভিন্ন সুরার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে পুরুষেরা বহুবিবাহে জড়াচ্ছেন। এমনকি ধর্মীয় নেতাদের নির্দেশও তারা অমান্য করে একাধিক বিয়ে করছেন।
আইনের চোখ ফাঁকি
ক্যাম্পে একাধিক বিয়ে নিষিদ্ধ থাকায় কোনো নিবন্ধন ছাড়াই অনেকটা গোপনে তারা বিয়ে করে ফেলেন। এতে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে পুরুষদের সমস্যা কম হয়।
এই ফাঁকি স্থানীয় বাঙালি পুরুষেরাও দিচ্ছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাঙালি নারীদের প্রবেশের সুযোগ খুব কম। সেই তুলনায় বাঙালি পুরুষেরা বেশি যাতায়াত করেন। এতে প্রথম স্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্পে অনেক সময় তারা বিয়ে করেন। বাংলাদেশে বসবাসের সুবিধার কথা ভেবে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার আবার বাঙালি ছেলেদের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে আগ্রহী হন। বাঙালিদের এই বহুবিবাহের ঘটনা রোহিঙ্গা মেয়েদের বেশি সমস্যায় ফেলে।
নির্যাতনের সূত্রপাত
পুরুষদের দ্বিতীয় বিয়ের শঙ্কায় রোহিঙ্গা নারীরা নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খোলেন না। অকথ্য ভাষা গালাগালির পাশাপাশি প্রতি নিয়ত তারা যৌন, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন সহ্য করে যান।
পুরুষের দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রী আবার সামাজিকভাবে হেয় হতে থাকেন। নিজের স্বামীকে তিনি সন্তুষ্ট রাখতে পারেননি বলে বদনামের মুখে পড়েন।
সন্তানদের পরিণতি
বহুবিবাহের জালে জড়িয়ে পড়া পরিবারের সন্তানদের স্কুল থেকে শুরু করে নিজের কমিউনিটিতে একঘরে অবস্থায় নিয়ে যায়। অধিকাংশ সময় পিতার কোনো সমর্থনই অনেক সন্তান পায় না। এতে প্রথম স্ত্রী তার মেয়েকে বিয়ে দিতে সমস্যায় পড়েন। তাদের অনেককে এক সময় বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়।
আর কিশোররা জড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের অপরাধে। জীবনের বড় একটা সময় মানসিক ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয় তাদের।
সঠিক পরিসংখ্যান নেই
স্পর্শকাতর ইস্যুটি নিয়ে নারীরা যেমন মুখ খুলতে চান না, তেমনি পুরুষরাও এড়িয়ে যেতে চান। তাই গত চার বছরে ঠিক কত পুরুষ বহুবিবাহে জড়িয়েছেন তার সঠিক সংখ্যাগত তথ্য কারো কাছে নেই। এসিএপিএস তাদের বিশ্লেষণের জন্য দলগত আলোচনায় অংশ নেয়া নারী-পুরুষের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার ৩২টি রিপোর্টকে ‘সেকেন্ডারি ডেটা’ বিবেচনায় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গত চার বছরের পরিস্থিতির কথা জানতে চাইলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "একাধিক বিয়ের বিষয়ে কোনো জরিপ হয়নি। রোহিঙ্গারা লুকিয়ে বহুবিবাহে জড়ায়।"