আফগানিস্তানের তালিবান অভিযোগ করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র কাবুলে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর নতুন সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পথে বাধা দিচ্ছে।
বিদ্রোহী থেকে শাসকে পরিণত গোষ্ঠীটি গত আগস্টে ক্ষমতা দখল করে এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিদেশী সামরিক হস্তক্ষেপের প্রায় ২০ বছরের অবসানের পর কেবল পুরুষ শাসিত একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন স্থাপন করে।
প্রধান তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদকে তার গোষ্ঠীর নীতি বা কোন দেশ বৈধতা প্রদানের বিলম্বের জন্য দায়ী কিনা তা ব্যাখ্যা করতে বললে তিনি বলেন, "বিদেশী দেশগুলির স্বীকৃতির বিষয়টি দেখা হলে, আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় বাধা,"।
তিনি সংবাদদাতাদের জন্য তালিবান-চালিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সংবাদদাতাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় বলেন, "আমেরিকা অন্য দেশগুলিকে এই দিকে যেতে দেয় না এবং নিজেও এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি,"।
মুজাহিদ দাবি করেছেন যে তালিবান তাদের সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য "সমস্ত প্রয়োজনীয়তা" পূরণ করেছে।
তিনি জোর দিয়েই বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র সহ সকল দেশকে বুঝতে হবে যে তালিবানের সাথে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় রয়েছে সকলের স্বার্থ। এটি বিশ্বকে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবানের সাথে তাদের "অভিযোগ" নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেবে।
মুজাহিদ জোর দিয়েই বলেন যে তালিবান নেতারা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তির সাথে সঙ্গতি রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে "ভালোভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চায়"। তিনি বলেন,ওয়াশিংটনকে কাবুলের সাথে আরও ভাল সম্পর্ক স্থাপনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে ।
তিনি বলেন, "আমরা শত্রু ছিলাম এবং যতদিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান দখল করেছিল ততদিন তার সাথে যুদ্ধ করছিলাম। সেই যুদ্ধ এখন শেষ হয়েছে।"
কোন স্বীকৃতি নেই
কোনো দেশ এখনও তালিবানকে আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, প্রধানত আফগান নারী ও মেয়েদের প্রতি তাদের কঠোর আচরণের কারণে। গোষ্ঠীটিকে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে যেখানে দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত আফগান গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
আল-কায়েদার উপস্থিতি
মুজাহিদ দাবি করেছেন যে আল-কায়েদা বা এর কোনো সদস্যই আফগানিস্তানে উপস্থিত নেই, বলেছেন যে তারা সবাই ২০০১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক আক্রমণের পর তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে।
ওয়াশিংটন ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে আমেরিকাতে হামলার পরিকল্পনার জন্য তৎকালীন তালিবান শাসিত আফগানিস্তান থেকে এই সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের নেতাদের দায়ী করে।