ব্লুমবার্গ নিউজ মঙ্গলবার বলেছে যে তারা এটি জানতে পেরে "উৎসাহিত" হয়েছে যে, চীনা কর্তৃপক্ষ স্পষ্টতই তাদের কর্মচারী হ্যাজ ফ্যানকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্দেহভাজন ফ্যানকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক করে রাখে চীনা সরকার।
বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ আউটলেট ব্যুরোর একজন চীনা সদস্য, ফ্যানকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আটক করা হয়। এর ঠিক কয়েক মাস আগে অস্ট্রেলিয়ার টিভি উপস্থাপক চেং লেইকেও একই রকম অভিযোগে আটক করা হয়েছিল।
গত মাসে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতি অনুসারে, কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দিয়েছে বলে জানা যায়। যদিও তিনি এখনো তদন্ত সাপেক্ষে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, "ফ্যানের আইনজীবীর অনুরোধে, চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ তাকে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।"
ব্লুমবার্গ নিউজ মঙ্গলবার এক সংবাদ প্রতিবেদনে বলেছে, তারা শুধুমাত্র গত সপ্তাহান্তে বিবৃতি সম্পর্কে সচেতন ছিল, তবে ফ্যানের সাথে তারা যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি।
ব্লুমবার্গের প্রধান সম্পাদক জন মিকলথওয়েট ওই প্রতিবেদনে বলেছেন, "আমরা উৎসাহিত যে হ্যাজ জামিনে মুক্ত”।
"তিনি আমাদের বেইজিং ব্যুরোর অনেক মূল্যবান একজন সদস্য - এবং আমরা তাকে এবং তার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।"
তাকে শেষ দেখা যায় যখন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং থেকে ফ্যানকে তুলে নিয়ে যায় এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অপরাধী সন্দেহে গত বছরের জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সাংবাদিকদের জন্য চীন বিশ্বের সব চেয়ে বৈরি একটি জায়গা। এ বছর প্রথম দিকে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস প্রকাশিত একটি তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে চীন ১৭৫তম স্থানে রয়েছে৷
সাংবাদিকরা প্রায়শই দেশটিতে হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের সম্মুখীন হন, এছাড়া কিছু কিছু অঞ্চলে বেশিরভাগ সংবাদ মাধ্যম একেবারেই লোকের নাগালের বাইরে।
বিদেশী আউটলেটগুলিতে চীনা নাগরিকদের সাংবাদিক হিসাবে নিয়োগ করা নিষিদ্ধ, তবে তারা তাদের সংবাদ সহকারী হিসাবে নিয়োগ করতে পারে।
চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্যানের মামলার সাথে "বিদেশী মিডিয়া কর্মচারী হিসাবে তার অবস্থানের কোন সম্পর্ক নেই।"