রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুললো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

খারকিভের উপকন্ঠে ৮ ‍জুন ২০২২ তারিখে ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় আংশিক বিধ্বস্ত এক সুপারমার্কেটের দিকে তাকিয়ে আছেন এক ব্যক্তি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সোমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগ করে। সংস্থাটি বলে যে, খারকিভে চালানো হামলায় শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যেই হামলার অনেকগুলোতেই নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের বিষয়ে এক প্রতিবেদনে অধিকার সংস্থাটি বলে, “খারকিভের আবাসিক মহল্লাগুলোতে বারবার নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করা হয়, যাতে শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন, এবং এগুলো যু্দ্ধাপরাধের শামিল।”

তাতে আরও বলা হয়, “এটি ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে করা হামলা এবং অন্যান্য ধরনের অনিয়ন্ত্রিত রকেট ও অনিয়ন্ত্রিত গোলা ব্যবহার করে করা হামলা, উভয়ের জন্যই সত্য।”

“জনবহুল বেসামরিক এলাকায় এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত বিষ্ফোরক অস্ত্রের অব্যাহত ব্যবহার, এটা জানা সত্ত্বেও যে এর ফলে বারবার বড় সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে, এভাবেও বিবেচনা করা যেতে পারে যে সেগুলো বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধেই পরিচালিত সরাসরি হামলা।”

অ্যামনেস্টি জানায় যে, তারা খারকিভে রুশ বাহিনীর দ্বারা বারবার ৯এন২১০ এবং ৯এন২৩৫ ক্লাস্টার বোমাবর্ষণ ও স্থল মাইন ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে। এগুলোর সবই আন্তর্জাতিক বিধিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত।

“এনিওয়ান ক্যান ডাই অ্যাট এনি টাইম” (যে কেউ যে কোনও সময়ে মারা যেতে পারে) শীর্ষক এই প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণের প্রথম দিনে রুশ বাহিনী কিভাবে খারকিভের বেসামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষবস্তুতে পরিণত করা শুরু করেছিল।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন, ক্লাস্টার বোমা ও মানুষের জন্য পেতে রাখা মাইন-এর ব্যবহার নিষিদ্ধকারী আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোতে স্বাক্ষরকারী দেশ না।

তবে, অ্যামনেস্টি জোর দিয়ে বলেছে যে, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন, নির্বিচার হামলা ও এমন অস্ত্র যা বৈশিষ্ট্যগতভাবে নির্বিচারে হত্যা করে, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে।