বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “আগামী ২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে।”
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “সারা দেশের জুডিশিয়াল সিস্টেমকে সম্পুর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর, আরো স্বল্পসময় ও খরচে যাতে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া যায় এবং বিচারক ও আইনজীবীরা যাতে সহজে বিচারিক কাজ করতে পারে; সে লক্ষ্যে ২ হাজার ২শ’ ২৪ কোটি টাকার "ই-জুডিশিয়ারি" নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।”
শনিবার (১১ জুন) আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ অফিসের যৌথ উদ্যোগে, অনলাইন কারণ তালিকা, বিচার বিভাগীয় মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং মাই কোর্ট অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার কোর্টরুম ডিজিটাইজড করা হবে। আদালতে অডিও রেকর্ডিং পুল সিস্টেম থাকবে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল টার্মিনাল করা হবে। এছাড়া ১৪টি সেন্ট্রাল জেল ডিজিটাল পদ্ধতির আ্ওতায় আনা হবে। আটক অভিযুক্তরা যেন জেল থেকে শুনানীতে অংশ নিতে পারে, এজন্য ৯টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৬৪টি জেলা কারাগারে ক্যামেরা রুম স্থাপন করা হবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে, বৈঠক অ্যাপস ব্যবহার করা হবে। বিচারিক তথ্যের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে জেআরপি’র অধীনে সুপ্রিম কোর্টে একটি ট্রায়াল ডেটাসেন্টার স্থাপন করা হবে।”
পলক বলেন, “ডিজিটাল বিচারিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, বিচারকদের ২ হাজার ল্যাপটপ, অফিস স্টাফদের জন্য ডেস্কটপ এবং ৭৫ হাজার আইনজীবী ও বিচারকের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমসহ প্রত্যেকটি বার অ্যাসোসিয়েশনে, একটি করে সাইবার ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “এটুআই, ইউএনডিপি ও আইসিটি বিভাগ যৌথভাবে অবকাঠামোগুলো তৈরি করবে। এর পর, এই অর্থবছরে বিচার ও স্বাস্থ্য বিভাগে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।”