ও.ই.সি.ডি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আরো ভয়ানক কিছু পূর্ভাভাস দিচ্ছে

ও.ই.সি.ডি-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স বুন এবং সেক্রেটারি জেনারেল ম্যাথিয়াস কোরম্যান প্যারিসে ওইসিডি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওইসিডি-র অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করছেন। ৮ জুন, ২০২২।

ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ এর ক্রমাগত সংক্রমণের ফলে বুধবার অর্থনীতি বিষয়ক আরও ভয়াবহ সংবাদ পাওয়া গেছে। প্যারিসভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ও.ই.সি.ডি) বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির তাদের পূর্বাভাসকে তীব্রভাবে হ্রাস করেছে এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে দরিদ্র মানুষ ও দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ও.ই.সি.ডি এই বছর তাদের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে- যা মাত্র কয়েক মাস আগে সংস্থাটির দেয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কম। সংস্থাটি অনুমান করছে যে, ২০২৩ সালে এ বৃদ্ধির গতি আরও মন্থর হবে।


সংকটের প্রধান কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন।

৩৮টি সবচেয়ে উন্নত দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ও.ই.সি.ডি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতি এই বছর যথাক্রমে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে- বৃদ্ধির এ হার পূর্ববর্তী পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কম।

এমনকি চীনও জিরো কোভিড নীতি এবং টিকার ঘাটতির জন্য প্রতিবন্ধকতার শিকার।

তবে ওইসিডি-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স বুন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলো সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ।

এই দেশগুলোর অনেকগুলোই তাদের জনগণের খাদ্যের জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার গমের ওপর নির্ভরশীল।

প্যারিসভিত্তিক এই সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও সাহায্য এবং আরও বৈশ্বিক সহযোগিতাসহ বিদ্যমান অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের পরামর্শ দেয়।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান রপ্তানিকারক রাশিয়ার মতো দেশগুলোর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা।