উত্তর কোরিয়ার জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল

দক্ষিণ কোরিয়ার সোল-এ একটি ট্রেন স্টেশনে টেলিভিশনে উত্তর কোরিয়ার রবিবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সংবাদ সম্প্রচারের সময়ে ফাইল ফটো দেখানো হচ্ছে, ৫ জুন ২০২২।

উত্তর কোরিয়ার তার আগের দিনের অস্ত্র পরীক্ষার জবাবে, সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আটটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানায় যে, এই মিত্ররা সকালের শুরুর দিকে পূর্ব সাগর বা জাপান সাগরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) নিক্ষেপ করে।

দশ মিনিট ধরে উৎক্ষেপণ করা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো, উত্তর কোরিয়া আটটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একদিন পরই করা হল। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবাহী রণতরী সাথে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

তারা বলে, “উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উস্কানির বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক বাহিনী কঠোর নিন্দা জানায় এবং জোরালোভাবে আবেদন করছে যাতে তারা এমন কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করে যা এই উপদ্বীপে সামরিক উত্তেজনা ‍বৃদ্ধি করে।”

উত্তর কোরিয়া এই বছর তাদের অস্ত্র কর্মসূচি জোরেসোরে এগিয়ে নিচ্ছে। যদিও তাদের দেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, তারা নতুন করে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, সোমবারের উৎক্ষেপণগুলো মিত্র দুই দেশের যৌথ শক্তি প্রদর্শনীর দ্বিতীয় ঘটনা। উত্তর কোরিয়ার উস্কানির বিরুদ্ধে সুক ইয়োল আরও কঠোর অবস্থানের অঙ্গীকার করেছেন।

গত মাসে উত্তর কোরিয়া তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর, সোল এবং ওয়াশিংটন যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল। সে সময়ের উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলেও ধারণা করা হয়। ২০১৭ সালের পর থেকে প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে এমন পদক্ষেপ নেয়।