নেটো রোববার বাল্টিক সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রায় ২ সপ্তাহের নৌ মহড়া শুরু করেছে। এতে নেটোতে যোগ দিতে ইচ্ছুক ফিনল্যান্ড ও সুইডেনসহ প্রায় ১৬টি দেশের ৭ হাজারেরও বেশি নাবিক, বিমানকর্মী ও নৌসেনা রয়েছে।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সরকার মে মাসে নেটোতে যোগদানের আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে উভয় দেশের সামরিক জোট নিরপেক্ষতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নেটোতে যোগদানের আবেদন করে। বিগত বছরগুলোতে মস্কো বারবার হেলসিঙ্কি এবং স্টকহোমকে পশ্চিমা সামরিক জোটে যোগদানের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে এবং যদি তারা যোগদান করে তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করেছে।
ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি মস্কোর দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় বলেছেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের নেটোতে যোগদান “খুব সমস্যাযুক্ত” হবে এবং রাশিয়াকে একটি কঠিন সামরিক অবস্থানে পড়তে হবে কারণ সেক্ষেত্রে রাশিয়ার কালিলিনগ্রাদের বাল্টিক এক্সক্লেভ এবং রুশ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ ও এর আশেপাশের এলাকাগুলো বাদে বাল্টিক সাগরের উপকূলরেখা প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে নেটোর সদস্য দেশগুলো দিয়ে বেষ্টিত থাকবে।
মিলি বলেন, স্টকহোম দ্বীপপুঞ্জের সরু পথ দিয়ে যাত্রা করা ৮৪৩ ফুট দীর্ঘ ইউএসএস কিয়ারসার্জের মতো অত বড় যুদ্ধজাহাজ যুক্তরাষ্ট্র এর আগে কখনও স্থানান্তর করেনি।
নেটোর ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকে নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে।
১৭ জুন জার্মানির কিল বন্দরে বালটপস ২২ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।