মায়ের কাছে দোয়া চেয়ে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভয়াবহ আগুন নেভানোর অভিযানে যোগ যেন দমকলকর্মী শাকিল তরফদার। সর্বশেষ ফোনে তিনি মাকে বলেন, “আমার জন্য দোয়া করো”।
শনিবার (৪ জুন) রাতের ভয়াবহ এ আগুনে মারা যাওয়া ৯ জন ফায়ার সার্ভিস-কর্মীর মধ্যে শাকিলও একজন। তিনি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার, সুখদাড়া গ্রামের সাত্তার তরফদার ও জেসমিন বেগমের ছেলে।
শাকিল তরফদার তিন বছর আগে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
শাকিল মাকে সর্বশেষ ফোনে জানান, তিনি ঈদুল আজহায় বাসায় আসবেন খুলনা জোনের মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে যোগ দেবেন। শাকিলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন শাকিলের মা। বড় ভাই মনি তরফদার মরদেহ আনতে চট্টগ্রামে গেলেও, এখনও তার ভাইয়ের মরদেহ পাননি।
সুখদাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, “শাকিল ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। তখন থেকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।”
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের জানান, “এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪৯ জনে পৌঁছেছে এবং নিহতদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।”
এছাড়া, ১২ জন দমকলকর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে রবিবার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শাহজাহান শিকদার জানিয়েছেন।