মহামারী শুরুর পর এই প্রথম বিদেশী হজ্বযাত্রীদের হজ্ব পালনের অনুমতি দিচ্ছে সৌদি সরকার

কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন কয়েক বছর ধরে হজ্বযাত্রীদের অনুপস্থিতির পর, ইন্দোনেশিয়ান হজ্বযাত্রীরা প্রথমবারের মতো সুরাবায়ার জুয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের মক্কার উদ্দেশ্যে প্রস্থান করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৪ জুন, ২০২২।

করোনভাইরাস মহামারী শুরুর পর শনিবার হজ্বযাত্রীদের প্রথম ব্যাচকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব। এর আগে, বিগত দুই বছর মুসলমানদের বার্ষিক ওই আচার-অনুষ্ঠানকে তীব্রভাবে সীমাবদ্ধ করতে বিদেশী হজ্বযাত্রীদের হজ্ব পালনের অনুমতি দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে আগত দলটি ইতোমধ্যে মদিনা শহরে অবতরণ করেছে এবং আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য হজের প্রস্তুতির জন্য আগামী সপ্তাহে তারা দক্ষিণে পবিত্র শহর মক্কার দিকে যাত্রা করবে।

দেশটির হজ্ব মন্ত্রকের মোহাম্মদ আল-বিজাভি রাষ্ট্র পরিচালিত আল-এখবারিয়া চ্যানেলকে বলেছেন, "আজ আমরা ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এই বছরের তীর্থযাত্রীদের প্রথম দলটিকে স্বাগত জানিয়েছি, এরপর মালয়েশিয়া এবং ভারত থেকেও ফ্লাইট চলতে থাকবে।"

তিনি সৌদি আরবকে হজ্বযাত্রীদের থাকার জন্য "সম্পূর্ণ প্রস্তুত" বলে বর্ণনা করে জানিয়েছেন, "মহামারীজনিত কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আজ আমরা, দেশের বাইরে থেকে আল্লাহ্‌র অতিথিদের পেয়ে খুশি।"

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ্ব একটি। যে সমস্ত মুসলমানের হজ্ব করার সামর্থ্য রয়েছে, তাঁদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ্ব করা ফরজ। মহামারি শুরুর আগে, ২০১৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি হজ্বে, প্রায় ২৫ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।

কিন্তু মহামারী শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, তারা শুধুমাত্র এক হাজার যাত্রীকে হজ্ব করার অনুমতি দেবে।

পরের বছর, তারা লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ৬০,০০০ সৌদি নাগরিক এবং বাসিন্দা যারা সম্পূর্ণ টিকা দিয়েছে, কেবলমাত্র তাদের হজ্ব পালনের অনুমতি দেয়।

মহামারীর আগে, সৌদি আরবের রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস ছিল হজ্ব বাণিজ্য। এর থেকে তারা বছরে প্রায় ১,২০০ কোটি ডলার আয় করত।

দেশটির হজ্ব মন্ত্রক জানিয়েছে, এই বছর ৬৫ বছরের কম বয়সী টিকাপ্রাপ্ত মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা।

আর সৌদি আরবের বাইরে থেকে যারা আসছেন, তাদের হজ্বের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে, এবং তাদের অবশ্যই ভ্রমণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে নেওয়া কোভিড-১৯ পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ ফলাফল জমা দিতে হবে।