শনিবার জার্মানীর বাভারিয়ান আল্পাইন রিসর্টের কাছে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায়, ধ্বংসাবশেষ থেকে আরেকটি লাশ উদ্ধার করার ফলে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।
তদন্তকারীরা উল্টে যাওয়া গাড়ির কামরাগুলো থেকে দূর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের খুঁজে বের করছিল। তারা গারমিশ-পার্টেনকিরচেনের কাছে শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
আঞ্চলিক ডেপুটি পুলিশ প্রধান ফ্রাঙ্ক হেলউইগ সংবাদদাতাদের বলেছেন, "আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে হতাহত আর কেউ হয়তো নেই। তবে আমি এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না।"
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে চারজন নারীসহ মোট ৪৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে।
শুক্রবার মধ্যাহ্নের ঠিক পরই ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে, যখন দক্ষিণ জার্মানির দুটি অঞ্চল ব্যাডেন-উয়ের্টেমবার্গ এবং বাভারিয়ায় গ্রীষ্ম কালীন স্কুল ছুটি শুরু হচ্ছিল৷
পুলিশ জানিয়েছে, "জনাকীর্ণ" আঞ্চলিক ওই ট্রেনটিতে প্রায় ১৪০ জন যাত্রী ছিল। কারণ মাসিক মাত্র ৯ ইউরোতে (১০ ডলার) টিকিট কিনে পুরো জার্মানি জুড়ে নতুন করে ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হওয়ায়, গণপরিবহণগুলোর চাহিদা অত্যধিক বেড়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী ভলকার উইসিং শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, "আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব এবং ঠিক কী ঘটেছে, তা তলিয়ে দেখব।"
জার্মান রেল কোম্পানি ডয়েচে বাহনের প্রধান রিচার্ড লুটজ দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছেন, তিনি যাত্রীদের মৃত্যুতে "ব্যথিত" এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চলতি মাসের শেষের দিকে উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে এই অঞ্চল।
২৬-২৮ জুন পর্যন্ত, গারমিশ-পার্টেনকির্চেন থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে শ্লোস এলমাউতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের, মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।