জাতিসংঘ বলেছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতা প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখের ওপরে ঠেলে দিয়েছে, যা আসন্ন বর্ষা এবং সংঘাতের কারণে “ভয়াবহ” রূপ নিতে পারে।
গত বছর অং সান সু চি-র সরকারের পতনের পর থেকে প্রায় ৭ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে।
দেশজুড়ে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বেসামরিক মিলিশিয়া গঠন করা হয়েছে এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, একটি আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক জান্তা গ্রাম ধ্বংস, বিচার বহির্ভূত প্রচুর হত্যাকাণ্ড এবং বেসামরিক মানুষের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে।
এক হিসেব অনুযায়ী অভ্যুত্থানের পর থেকে ১২ হাজারেরও বেশি বেসামরিক সম্পত্তি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বা ধ্বংস করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় বলেছে, বর্ষা আসার সাথে সাথে এমন বাস্তুচ্যুতি শিবিরে বসবাসকারীদের জন্য আরও দুর্দশার হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর হওয়া বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ উত্তর-পশ্চিম সাগাইং অঞ্চলের, যেখানে জান্তা বাহিনীর সাথে যোদ্ধাদের নিয়মিত যুদ্ধ হয় বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
মার্চে জান্তা প্রধান অং হ্লাইং বলেন, সামরিক বাহিনী তার বিরোধীদের “শেষ পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন” করবে।
একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে জান্তার ক্র্যাকডাউনে ১৮শ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১৩ হাজার জনের বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছে।