রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির পরামর্শ চাওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

ভারত কীভাবে রাশিয়া থেকে তাদের তেল কেনার বিষয়টি পরিচালনা করছেন, সে বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার কথা উল্লেখ করে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “জ্বালানি সমস্যা বাংলাদেশের জন্যও একটি সত্যিকার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

সোমবার (৩০ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এনার্জির (আমদানি) ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া আমাদের এনার্জি ও গম অফার করেছে। এটি একটি বাস্তব সমস্যা হয়ে উঠেছে। আমরা এতে (শক্তি সংকট) ভীত। আমরা তাদের (ভারত) পরামর্শ চেয়েছি, কীভাবে তারা এটা করছে। এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা।”

এর আগে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে, ২৮-২৯ মে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনের নদী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “আপনারা দেখছেন যে, তারা আমাদের ওপর বসগিরি করছে এবং আপনারা (সাংবাদিকরাও) তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন সমস্যা নিয়ে হাজির হয়। তাদেরকে আমরা উন্নয়ন সহযোগী বলতাম। তারা উন্নয়নের জন্য অর্থ দেয় না, কিন্তু পরামর্শ দিতে থাকে।”

মোমেন বলেন, “উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা অনেক কিছু সামনে রেখে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নানা শর্ত যোগ করে। এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।”

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ হওয়ায়, বিশ্বের স্থিতিশীলতাকে সব সময় স্বাগত জানায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই আন্তঃনির্ভরশীল।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আরও বলেন, “বাংলাদেশের রপ্তানির দুই বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অস্থিতিশীলতা থাকলে, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা থাকলে বাংলাদেশের রেমিটেন্স অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।

মোমেন বলেন, “তাই আমরা কোনো সমস্যায় পড়তে চাই না। আমরা বিশ্বে শান্তি চাই।”

তিনি বলেন, “ধনী দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যুদ্ধ শেষ করা সবার জন্য মঙ্গলজনক।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, কীভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা যায়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতার দুর্বল হয়ে পড়া দেখতে চায় না। আমরা বহুপাক্ষিকতার একটি বড় সমর্থক।”