পূর্ব তিমুরের উপকুলের অদূরে শুক্রবার ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে(ইউএসজিএস) জানিয়েছে,অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন শহর পর্যন্ত ঐ ভূ-কম্পন অনুভূত হয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, পূর্ব তিমুর এবংইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বিভক্ত তিমুর দ্বীপের পূর্ব প্রান্তে ৫১ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
পূর্ব তিমুরের রাজধানী ডিলিতে এএফপির এক সাংবাদিক ভূ-কম্পনটি অনুভব করেন। তিনি বলেন, যদিও কম্পনটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল তবে "ধাক্কাটি বেশ শক্তিশালী ছিল।
ঐ সাংবাদিক বলেন, “লোকজনকে আমি তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে এবং শিশুদের স্কুলের বাইরে দৌড়াতে দেখেছি।”
দেশটির পূর্বাঞ্চলের লসপালোস শহরের চারপাশে ভূমিকম্পটি আরও মারাত্মক ছিল তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখনও পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছেন। তারা ক্ষয়ক্ষতি বা সম্ভাব্য হতাহতের খবর বিস্তারিতভাবে জানাননি।
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনেও ভূ-কম্পনটি অনুভূত হয়। ঐ শহরটি ভূ-কম্পনের কেন্দ্রস্থল থেকে তিমুর সাগরের অপর পাড়েঅবস্থিত।
ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের খবর অনুসারে, ভূমিকম্পের ফলে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মলুকাস দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরভবনগুলি থেকে লোকজন বেরিয়ে আসে। কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর দেয়নি।
ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায় ফেব্রুয়ারিমাসে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে এক ডজন মানুষ প্রাণহারায়।
২০০৪ সালে ৯ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সুমাত্রার উপকূলে আঘাত হানার ফলে সেখানে সুনামি হয় এবং ঐ অঞ্চল জুড়ে ২ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ছিল ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।