উত্তর কোরিয়া আরও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাবে যুক্তরাষ্ট্র

সোলের এক রেলওয়ে স্টেশনে টেলিভিশনের এক সংবাদ সম্প্রচারে মানুষজন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ফাইল ফুটেজ দেখছেন। ২৫ মে ২০২২।

যুক্তরাষ্ট্র বুধবার জানায় যে, তারা জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন করবে। এর আগে কিম জং উনের সরকার কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে, যার মধ্যে সম্ভবত তাদের বৃহত্তম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়া ত্যাগের মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।

এছাড়াও উত্তর কোরিয়া একটি পারমাণবিক বিস্ফোরক যন্ত্রের “প্রায়োগিক পরীক্ষা” চালাচ্ছে বলেও দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা দফতরের প্রথম উপপরিচালক, কিম টে-হিয়ো জানান।

তার এমন সতর্কবার্তা যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার করা ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে মিলে যায়। এই দুই দেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বলে আসছে যে, কিমের সরকার তাদের সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।

পিয়ংইয়ং এর সুনান এলাকা থেকে একটি আইসিবিএম-সহ তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল বলে, দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছিল। এই বছর চালানো প্রায় ২০টির মত পরীক্ষার একটি ছিল এটি। উৎক্ষেপণের ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালায়।

উত্তর কোরিয়ার এমন পরীক্ষা চালানোর ফলে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে ভোটের আহ্বান জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমন পরিকল্পনার কথা জানান।

ঐ কর্মকর্তা “আসন্ন দিনগুলোতে” নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আশা করছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নিরাপত্তা পরিষদের আগের এক প্রস্তাবে ভবিষ্যতে কোন আইসিবিএম উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটলে তার পরিণতির আহ্বান করা হয়েছিল।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ঐ কর্মকর্তা বলেন, “ঐ প্রস্তাবে এটি একটি শর্ত হিসাবে রাখা হয়েছিল। ঠিক সেটাই ঘটেছে এবং তাই আমরা মনে করি যে এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সময় হয়েছে।”