অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করলেন; অবসান ঘটলো এক দশকের রক্ষণশীল শাসনের

অস্ট্রেলিয়ান লিবারেল পার্টির নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, তার স্ত্রী জেনি এবং কন্যা লিলি ও অ্যাবিকে সাথে নিয়ে সমর্থকদের সম্বোধন করছেন এবং দেশের সাধারণ নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেছেন যেখানে তিনি লেবার পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন শনিবার নির্বাচনের পর পরাজয় স্বীকার করেছেন এবং বিরোধী লেবার পার্টি প্রায় এক দশকের রক্ষণশীল শাসনের অবসান ঘটাতে চলেছে, অনেকটাই পরিবেশ-পন্থী স্বাধীন ভোটদাতাদের সমর্থনে।

আংশিক ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে যে মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ভোটারদের দ্বারা পরাস্ত হয়েছে এবং বিশেষ করে ধনী শহুরে আসনগুলিতে।

মরিসন তার দলের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করে বলেছেন, "আজ রাতে, আমি বিরোধীদলীয় নেতা এবং আসন্ন প্রধানমন্ত্রী, অ্যান্টনি আলবানিজের সাথে কথা বলেছি এবং আজ সন্ধ্যায় তার নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি," ।

একা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫১টি নিম্নকক্ষের আসনের মধ্যে লেবার দল এখনও ৭৬টিতে পৌঁছাতে পারেনি। রেকর্ড সংখ্যক পোস্টাল ভোটের গণনা শেষ হতে চূড়ান্ত ফলাফলে সময় লাগতে পারে।

গ্রিনস এবং তথাকথিত "টিল ইন্ডিপেনডেন্টদের" একটি দল, যারা অখণ্ডতা, সমতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার নীতি নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিল তাদের অবস্থান এখন শক্ত। । এর অর্থ হল এখন নতুন পার্লামেন্টে জলবায়ু-সংশয়বাদীদের সংখ্যা অনেক কম হবে। আগে পার্লামেন্টে মরিসনের কয়লা খনির প্রশাসনের পক্ষে সমর্থন বেশি ছিল।

জনমত জরিপে মধ্য-বামপন্থি লেবার পার্টি চমত্কার ভাবে এগিয়ে ছিল , যদিও সাম্প্রতিক সমীক্ষাগুলি দেখা যায় যে ছয় সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচার অভিযানে লিবারেল-ন্যাশনাল সরকারের সঙ্গে ব্যবধান কমেছিল।