বহনকারী ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলের পুলিশ প্রহার করে এবং এদের মধ্যে একজনকেগ্রেপ্তার করেছে। বুধবার ঐ আটককৃত ব্যক্তির আইনজীবী এ খবর জানিয়েছেন।
পুলিশের এক মুখপাত্র আমরো আবু খাদাইরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও শুক্রবারের জানাজার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি খাদাইরকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
পুলিশের এক মুখপাত্র আমরো আবু খাদাইরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও শুক্রবারের জানাজার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি খাদাইরকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
কফিন বহনকারীদের উপরে লাঠিধারী ইসরাইলি কর্মকর্তাদের লাঠিপেটার চিত্র বিশ্বজুড়েব্যাপক নিন্দার ঝড় তোলে। এক পর্যায়ে কফিন বহনকারীরা আবু আকলেহর কফিন প্রায় ফেলে দিয়েছিল। ১১ই মে অধিকৃত পশ্চিম তটে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সময় ঐ সাংবাদিককে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
আবু খাদাইরের আইনজীবী খালদুন নিজম বলেন, তার মক্কেলকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিন্তু তার কাছে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রকাশ করা হয়নি এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আবু খাদাইর পরে তাকে জানান যে জানাজা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে যে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা স্থাপন করা হলে তা 'সস্তা ষড়যন্ত্র' হিসেবে গণ্য হবে। পুলিশ ও আইনজীবী জানিয়েছেন, আবু খাদাইরের হাজতবাসের মেয়াদ রোববার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বিতীয় আরেক কফিন বহনকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গ্রেপ্তার না হলেও পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী ওমর বারলেভ শনিবার বলেন, "অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় যা ঘটেছিল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য" তিনি এবং পুলিশ কমিশনার একটি প্যানেল গঠন করেছেন যাতে ঐ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়।
ইসরাইল পৃথকভাবে আবু আকলেহের মৃত্যুর তদন্ত করছে। ফিলিস্তিনিরাও তার হত্যার তদন্ত করছে।
ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার অভিযোগ এনেছে। ইসরাইলতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে বলেছে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে গুলি বিনিময়ের সময় কোনো সৈন্য অথবা ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী তাকে গুলি করে হত্যা করে থাকতে পারে।