ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলা (ডাচেস অফ কর্নওয়াল) মঙ্গলবার নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে তাদের তিন দিনের কানাডা সফর শুরু করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাদের স্বাগত জানান।
১৯তম কানাডা সফরে প্রিন্স চার্লস তিন দিন ধরে দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল এবং কানাডার রাজধানী ঘুরে দেখবেন। এ সফরে জলবায়ু পরিবর্তন এবং আদিবাসীদের সাথে মীমাংসার বিষয় প্রাধান্য পাবে ।
এই সফরটি রানী এলিজাবেথের সিংহাসনে সাত দশক পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপনের অংশ।
কনফেডারেশন বিল্ডিং-এ এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে, প্রিন্স চার্লস আদিবাসীদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে কানাডার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি এই সফর করছেন যখন দেশটি তার অতীতের মুখোমুখি হয়েছে।
১৮৩১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে কানাডার কেন্দ্রিয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং রাজতন্ত্রের নামে প্রায় ১৫০,০০০ আদিবাসী শিশুকে তাদের পরিবার থেকে জোরপূর্বক বিছিন্ন করে গির্জা-চালিত আবাসিক স্কুলগুলিতে ভর্তি করা হয়।
গত বছর সাবেক ঐসব আবাসিক স্কুল এলাকায় হাজার হাজার শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া যাওয়ার পর কানাডা প্রশ্নের মুখে পড়ে৷ এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে নির্যাতন বা অবহেলার কারণে কানাডার সরকারকে এই স্কুলগুলিতে উচ্চ মৃত্যুর হার সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল।
১৮৬৭ সালের পর থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশের তকমা থেকে বেরিয়ে আসে কানাডা তবে এটি ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য এবং রাজতন্ত্রের পক্ষে ব্রিটিশ-নিযুক্ত গভর্নর-জেনারেল কাজ করেন।
এপ্রিল মাসে অ্যাঙ্গাস রিড গবেষণা গোষ্ঠীর প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে দেশের সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার বিষয়ে কানাডার নাগরিক সমর্থন বাড়ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৪৫ শতাংশ লোক রাজতন্ত্র বিলুপ্তির পক্ষে ছিলেন। এখন প্রায় ৫১% বলছেন যে এটি আগামী কয়েক প্রজন্মে বিলুপ্ত হওয়া উচিত।