দেশব্যাপি লকডাউনের চতুর্থ দিন নাগাদ মোট ৪২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের একটি ট্রেন স্টেশনের টিভি স্ক্রীনে উত্তর কোরিয়ায় কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের একটি সংবাদ প্রতিবেদন দেখছে লোকেরা। ১৪ মে, ২০২২।

সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া — উত্তর কোরিয়া রবিবার বলেছে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব বন্ধ করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী লকডাউনের চতুর্থ দিন নাগাদ মোট ৪২ জন মারা গেছে। দরিদ্র দেশটিতে এই প্রথম কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, দেশটি মহামারী নিয়ন্ত্রণে "দ্রুত রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থা" গ্রহণ করেছে, তবে পিয়ংইয়ং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যে কোভিডের ভ্যাকসিন নেবে, এমন কোনও লক্ষণ নেই।

কেসিএনএ রবিবার রিপোর্ট করেছে, "দেশের সবগুলো প্রদেশ, শহর এবং কাউন্টি সম্পূর্ণরূপে লকডাউন করা হয়েছে। এই লকডাউনের ফলে ১২ মে সকাল থেকে কার্যকরী ইউনিট, উত্পাদন ইউনিট এবং আবাসিক সব ইউনিট একে অপরের থেকে আলাদা থাকবে। এছাড়া সবাইকে কঠোর এবং নিবিড় পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।"

একদিন আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার তার দেশকে এক "মহা অশান্তিতে" ফেলেছে, এবং এই প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

কেসিএনএ জানিয়েছে, তবে লকডাউন চলা সত্ত্বেও কিম এবং দেশটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শনিবার কিমের প্রয়াত বাবা কিম জং ইলের শাসনামলে রাষ্ট্রের সাবেক ডি ফ্যাক্টো প্রধান, ইয়াং হিয়ং সোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেন।

সামগ্রিকভাবে, উত্তর কোরিয়া ৮,২০,৬২০জনের সন্দেহভাজন কোভিড সংক্রমণের খবর দিয়েছে। এর মধ্যে, ৩,২৪,৫৫০ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে কেসিএনএ জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার এই হাজার হাজার করোনা লক্ষণযুক্ত রোগীর পরীক্ষা করার ক্ষমতার অভাব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সন্দেহভাজন কেসগুলির মধ্যে ঠিক কতজনের কোভিড-১৯ টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে কেসিএনএ তা জানায়নি।

উত্তর কোরিয়া এর আগে ভাইরাস সংক্রমণের নিশ্চিত কোনো ঘটনা দাবি করেনি। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বের মাত্র দুটি দেশের মধ্যে উত্তর কোরিয়া একটি, যেখানে এখনও কোভিড টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়নি।