তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট, জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় নিয়ে প্রতিবাদের মধ্যেই, শনিবার ন্যূনতম মজুরিতে শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছেন যা, তার স্বৈরাচারী পূর্বসূরির নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বহন করে।
প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিনি শতকরা ২৩.৩ ভাগ মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি ২০১৬ সালের পর, প্রথমবারের মতো সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সামিয়া সুলুহু হাসানের কার্যালয় বলেছে, "দেশের মোট অভ্যন্তরীন উৎপাদন, দেশীয় রাজস্ব এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিক উভয় অর্থনীতির উন্নয়ন বিবেচনা করে বেতন বৃদ্ধি অনুমোদন করা হয়।”
তার পূর্বসূরি জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর, গত বছর ক্ষমতায় আসেন সামিয়া সুলুহু হাসান। এরপর বিরোধীদের কথামত মাগুফুলির কিছু নীতি পরিবর্তন করেন। আর, করোনভাইরাস মহামারী নিয়েও তার পূর্বসুরির দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে ফেলেন।মাগুফুলি করোনভাইরাস মহামারীকে তেমন আমলে নেননি।
মাগুফুলি ২০১৫ সালের অক্টোবরে তার নির্বাচনের পর মজুরি পর্যালোচনা করতে অস্বীকার করেন, বন্দর ও রেলপথের উন্নয়ন এবং জাতীয় বিমান সংস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিবর্তে তিনি উচ্চাভিলাষী অবকাঠামো নির্মাণের নীতিঅনুসরণ করেন।
২০২০ সালে, তানজানিয়ার অর্থনীতি ৪.৮ শতাংশ হ্রাস পায়,পরের বছর কিছুটা এগিয়ে প্রবৃদ্ধি হয় ৪.৯ শতাংশ কারণ, কোভিড-১৯ মহামারি কালের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, পর্যটন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা পূর্ব আফ্রিকারে ঐ দেশটির আয়ের প্রধান উৎস।
এদিকে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর, সরবরাহ কমে যাওয়ায়, তানজানিয়ায় জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়েছে।
১লা মে শ্রম দিবস উদযাপনের সময়, ট্রেড ইউনিয়ন এবং বেসামরিক কর্মচারীরা তানজানিয়ার রাজধানী ডোডোমায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করে। অনেকের হাতে তখন, " আমাদের দাবি শ্রমিকদের জন্য আরও ভাল বেতন এবং সুবিধা বৃদ্ধি” লেখা প্লেকার্ড ছিল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত বছর তানজানিয়াকে, জরুরি অর্থায়ন হিসেবে, ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি ঋণ দিয়েছিল। সংস্থাটি বলেছিল যে, দেশটি মহামারির বিরূপ প্রভাব জনিত মন্দার কারণে "জরুরি" স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে।