জাতিসংঘ বলেছে রেকর্ড সংখ্যক আফগান তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন

কাবুলে একটি বেকারির বাইরে এক ব্যক্তি বোরকা-পরা আফগান মহিলাদের মধ্যে রুটি বিতরণ করছেন। ২ ডিসেম্বর, ২০২১।

ফসল তোলার আসন্ন মৌসুম আফগানিস্তানের ক্রমহ্রাসমান খাদ্য মওজুদে কিছুটা স্বস্তি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির এশিয়ার উপ-আঞ্চলিক পরিচালক, অ্যান্থিয়া ওয়েব সতর্ক করেছেন যে এই স্বস্তির সময়টা স্বল্পস্থায়ী হবে বলে মনে হচ্ছে।

ব্যাংকক থেকে ওয়েব বলেছেন, মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত গম কাটার মরসুম কয়েক হাজার মানুষের জীবনরক্ষা করতে পারবে। তবে, তিনি আরো বলেছেন যে এখনও ১৮৯ লক্ষ লোক জুন থেকে নভেম্বরের মধ্যে তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হবে, যখন ক্ষুধার্তদের সংখ্যা আবার বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

“খরা এবং অর্থনৈতিক সংকট সারা দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তাছাড়া, ইউক্রেনের যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির দামের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানে তীব্রভাবে ‘এর প্রভাব পড়েছে, যেখানে আগে থেকেই মূল্য অনেক বেশি ছিল।"

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে ২০ হাজারেরও বেশি লোকের এক ছোট গোষ্ঠী ক্ষুধার বিপর্যয়মূলক পরিস্থিতির মুখোমুখি, যা কিনা বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলছে্ন, তারা সপ্তাহে সাত দিন রুটি ছাড়া কিছুই খায় না এবং তাদের বেঁচে থাকতে হলে মানবিক সহায়তার খুব প্রয়োজন।

ওয়েব বলছেন, কার্যত এই তালিবান কর্তৃপক্ষের দ্বারা নারীদের উপর আরোপিত ক্রমবর্ধমান কঠোর, দমনমূলক ব্যবস্থা, তাদের পরিবারের পুষ্টির অবস্থা এবং সুস্থতার উপর দূর্ভাগ্যজনক প্রভাব ফেলছে।

ওয়েব বলছেন, তিনি ভয় পান যে নারীদের বিরুদ্ধে তালিবানের কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক দাতাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে যারা এই ধরনের নিপীড়ক শাসনামলকে সমর্থন করতে অনিচ্ছুক।

তিনি দাতাদের আশ্বস্ত করেছেন যে মানবিক সহায়তার জন্য তারা যে অর্থ দিয়েছে তা সরকারের কাছে যায় না বরং আফগান জনগণের কাছে যায় যাদের এখন আগের চেয়ে বেশি সহায়তা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেছেন, এই বছর ডাব্লুএফপির জরুরি জীবন রক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ১৪০ কোটি লক্ষ ডলার প্রয়োজন।