ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন এই মাসের শেষের দিকে নেটোতে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।উভয় দেশই বলছে, মস্কোর কর্মকাণ্ড ইউরোপের নিরাপত্তা অবস্থাকে বদলে দিয়েছে এবং ক্রেমলিনের পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার জন্য নেটো সরবরাহ করতে পারে এমন সম্মিলিত আত্মরক্ষা প্রয়োজন।
একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই মাসের শুরুতে ফিনল্যান্ডের আইনপ্রণেতারা নেটোতে যোগদানের বিষয়ে বিতর্ক করছেন। সামনের দিনগুলোতে একটি সিদ্ধান্ত আশা করা হচ্ছে। ফিনল্যান্ডের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী টিটি টুপুরাইনেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “এটা পরিষ্কার যে, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে সবকিছু বদলে গেছে।“
টুপুরাইনেন বলেন, আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে সংসদে আলোচনা বেশ এগিয়েছে।
সুইডেনের ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা ১৫ মে নেটো সদস্যপদের জন্য আবেদন করার বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় দেশই একটি যৌথ প্রস্তাব জমা দেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
নেটো স্পষ্ট করেছে যে, সম্ভবত আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে জোটের সদস্য হিসেবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হবে।
উভয় নর্ডিক দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। তাদের বাহিনী আর্কটিক যুদ্ধে দক্ষ এবং নিয়মিতভাবে নেটোর সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় । তারা রাশিয়ার বিশাল সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা বাল্টিক এবং উত্তর ইউরোপে জোটের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে।
“সামরিক প্রযুক্তিগত প্রতিক্রিয়া”র নামে হুমকি দিয়ে রাশিয়া বলেছে, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন যদি নেটোতে যোগ দেয় রাশিয়া তার ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে। কিন্তু ফিনিশ ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের নিরাপত্তা বিশ্লেষক চার্লি স্যালোনিয়াস-পাস্টারনাক বলেছেন, এ ধরনের পারমাণবিক হুমকি হয়তো উলটো ফলাফল বয়ে আনতে পারে।