রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই—জানালেন দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের দেশটিতে ফেরত পাঠাতে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার (১০ মে) সচিবালয়ে ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ ম্যাকানিজম অন মিয়ানমারের (আইআইএমএম) প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এবং ইউএসএইডের ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইজোবেল কোলম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক আলাচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, “এটা নিয়ে গত মাসেই একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে নাগরিকদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে এবং মিয়ানমার সেটা গ্রহণ করেছে। এটা প্রক্রিয়াধীন। এ পর্যন্ত আমরা ৩৫ হাজার তালিকা দিয়েছি, কতজন তারা গ্রহণ করছে এমন কিছু এখনো পাঠায়নি। সবশেষ যদি বলি এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি আমাদের নেই।

আইআইএমএম প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরে এনামুর বলেন, “তিনি এসেছেন মিয়ানমার যে নির্যাতন করেছে তার একটি ইনভেস্টিগেশন করতে। সে জন্য তিনি আমাদের অনুমতি চেয়েছেন। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি”।

ইউএসএইডের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তারা বলেছেন ভাসানচরে এখনো বেশি মানুষ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। পরিবেশের উন্নয়ন করতে হবে। খাবার পানি, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি”।

এনামুর রহমান আরও বলেন, “ভাসানচরে এখনো জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কার্যক্রম শুরু করেনি। এ ব্যাপারে আমি ইউএসএইডের সহযোগিতা চেয়েছি, যাতে দ্রুত সেখানে ইউএনএইচসিআর, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম কার্যক্রম শুরু করে। তারা জানিয়েছেন, দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে তারা চাপ তৈরি করবেন”।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছেন ২০১৭ সালের ২৫ অগাষ্টের পরের কয়েক মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনীর নিপীড়ন ও গণহত্যার শিকার হয়ে।