বাংলাদেশের কৈলাশটিলায় নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু

সোমবার থেকে, বাংলাদেশের সিলেটে জেলার, কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র থেকে নতুন উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস, জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, “সোমবার থেকে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আসতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, একটি স্থায়ী ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে মঙ্গলবার থেকে নিয়মিতভাবে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।”

পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল), ২ মে কৈলাশটিলা ফিল্ডের একটি পরিত্যক্ত কূপ থেকে এই নতুন গ্যাস আবিষ্কার করে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কূপটি নিয়মিতভাবে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত ২ মে, তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নতুন গ্যাস আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।

মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ১০ মে থেকে জাতীয় গ্রিডে ১ কোটি ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, আশা করা হচ্ছে গ্যাসক্ষেত্রের বর্তমান জোন থেকে পরবর্তী কয়েক বছর ধরে উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, কৈলাশটিলা ক্ষেত্রে অবশিষ্ট পুনরুদ্ধারযোগ্য গ্যাসের মজুদ ৭৫৮০০ কোটি ঘনফুট। যা ধীরে ধীরে বিভিন্ন কূপের মাধ্যমে উৎপাদন করা যেতে পারে।

কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রে এ পর্যন্ত সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি এখন প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছে।

জ্বালানি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, নতুন এই জোনটির আবিষ্কার, সরকারকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। কারণ দেশে ৬০ কোটি ঘনফুট এরও বেশি গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।

মোট ৩৬০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে দেশে মোট গ্যাস সরবরাহ২৯৫ কোটি ঘনফুট।

এর মধ্যে দেশের ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র, ২২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে। বাকি ৭৫ কোটি ঘনফুট, আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দ্বারা পূরণ করা হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেনের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিশ্ব আমদানি বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। আর, গ্যাসের দাম প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ থেকে ৩৭ ডলারে পৌঁছেছে।

ফলে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গ্যাস খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।