তেহরানে ইরানের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট: ইরানের প্রচারমাধ্যম

ইরানের প্রেসিডেন্সির দেওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (রাঃ) রাজধানী তেহরানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ৮মে, ২০২২। (ছবি: ইরানী প্রেসিডেন্সি/এএফপি)

দুবাই — সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সাথে আলোচনার জন্য রবিবার তার ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক মিত্র ইরান সফর করেছেন। এই সময় উভয় নেতাই তেহরান ও দামেস্কের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

২০১১ সালে সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তেহরানে আসাদের এটা দ্বিতীয় সফর। আসাদ তার এই সফরের সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সাথেও দেখা করেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি অনুসারে, খামেনি আসাদকে বলেছেন, "আজকের সিরিয়া যুদ্ধের আগে যা ছিল সেই অবস্থায় আর নেই। যদিও তখন কোনো ধ্বংসযজ্ঞ ছিল না, তবে বর্তমানে সিরিয়ার সম্মান ও প্রতিপত্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি এবং সবাই এই দেশটিকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবেই দেখে।"

ইরানের প্রক্সি মিলিশিয়া এবং ২০১৫ সালে রাশিয়ার প্রবল সামরিক হস্তক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তায়, ২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের জোয়ার ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হন আসাদ সরকার।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আসাদকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এই অঞ্চলে ইহুদিবাদী শাসকদের [ইসরায়েলের] আধিপত্যকে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে।" ইরানের নুরনিউজ জানিয়েছে, বৈঠক শেষে আসাদ সিরিয়ায় উদ্দেশ্যে তেহরান ত্যাগ করেছেন।

লেবাননের হিজবুল্লাহসহ তেহরান-সমর্থিত বাহিনী সিরিয়ার যুদ্ধে আসাদকে সমর্থন করার জন্য গত দশক থেকে মোতায়েন রয়েছে। ইসরায়েল, যাকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে, তাদের ভাষায় সিরিয়ায় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ঘন ঘন আক্রমণ চালিয়েছে।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি আসাদের সাথে বৈঠকে বলেছেন, তার সরকারের অগ্রাধিকার সিরিয়ার সাথে কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার করা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় ইরানের অর্থনৈতিক প্রভাব বেড়েছে, বিশেষত আসাদ সরকারকে ইরানের ক্রেডিট লাইন সরবরাহ এবং লাভজনক ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের মতো বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।