ড্রোন হামলায় কৃষ্ণ সাগরে আরেকটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের টুইটার ফিডে ৭ মে, ২০২২ তারিখে প্রকাশিত এক ভিডিও থেকে একটি স্ক্রিন সটে রাশিয়ান একটি জাহাজকে ইউক্রেনীয় বায়রাক্টার টিবি২ ড্রোন থেকে আঘাত করার কিছুক্ষণ আগের চিত্র দেখাচ্ছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী শনিবার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ভিডিও চিত্রে দেখা যায় যে, কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ছোট দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডের কাছে, রাশিয়ার একটি অবতরণ জাহাজ ধ্বংস হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী বলছে, বায়রাক্টার টিবি২ ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে, তারা রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, অপর একটি সশস্ত্র বায়রাক্টার ড্রোন, ইউক্রেনীয় বন্দর ওডেসা থেকে ৮০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত দ্বীপটিতে, রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দিয়েছে।

প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি দ্বারা শনিবার ভোরের দিকে তোলা স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে দেখা যায়, স্নেক দ্বীপের উত্তর সৈকতের একটি সেরনা-শ্রেণীর অবতরণকারী জাহাজ দেখা যায়৷ এটি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী প্রকাশিত ভিডিওটির সাথে মিলে যায়, যেখানে জাহাজটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

ভিডিও চিত্রে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর ড্রোন হামলায় দ্বীপের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলো দেখা যাচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

স্নেক আইল্যান্ডে ইউক্রেনীয় বাহিনীর এই হামলা, কৃষ্ণ সাগর নিয়ন্ত্রণে রাশিয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

এদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শনিবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর ওডেসায় ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

এছাড়াও, কিয়েভে ভয়েস অফ আমেরিকার রিপোর্টার আনা চেরনিকোভা জানিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ মারিউপোল স্টিল ওয়ার্কস প্ল্যান্ট থেকে সব নারী, শিশু এবং বয়স্ক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছিলেন, রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে, ইউক্রেনের কিছু অংশে আরও গোলাবর্ষণ হতে পারে।

কর্মকর্তারা ফেইসবুকে লিখেছেন,"যেহেতু রাশিয়ার সৈন্যরা বিজয় দিবস সামনে রেখে, কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারছে না; তাই, চলমান দিন গুলোতে ইউক্রেনের শহরগুলিতে ব্যাপক গোলাবর্ষণের ঝুঁকি বাড়ছে।"

ইউক্রেন তার নাগরিকদের সতর্ক করেছে যে, বিমান হামলার সাইরেন শুনতে পেলেই, তারা যেন নিরাপদ স্থানে সরে যায়। আর রাশিয়ার আক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বিশাল সংখ্যায় জমায়েত না করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে নাগরিকদের।