রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করবে টোকিওঃ জাপানের প্রধানমন্ত্রী

জাপানের প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের গিল্ডহলে বক্তৃতা দিচ্ছেন। ৫ মে, ২০২২।

বৃহস্পতিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, তারা রাশিয়ার শক্তির ওপর নিজেদের এবং অন্যান্য দেশের নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করার উদ্দেশে পারমানবিক চুল্লি ব্যবহার করবে।

২০১১ সালের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর পরমাণু চুল্লি বন্ধ করার পর থেকে জাপান রাশিয়ার গ্যাসের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্প এবং সুনামি জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল।

কিন্তু আগামি জুলাই মাসের নির্বাচন এবং ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা ক্রমবর্ধমান জ্বালানির মূল্যের কারণে কিশিদা বলেছেন, পারমাণবিক শক্তি দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নীতির অংশ হবে।

২০১১ সালের মার্চ মাসে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে চেরনোবিলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক সংকট সংঘটিত হবার এক দশকেরও বেশি সময় পরেও জাপানে পারমাণবিক শক্তি একটি কঠিন সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানকার ৩০ টি চুল্লির মাত্র কয়েকটি কাজ করছে।

তবে বেশিরভাগ জনসাধারণ এবং ব্যবসায়ী চায় যে,জ্বালানি সুরক্ষার জন্য সরকার পুনরায় পারমাণবিক চুল্লি চালু করুক। ইউক্রেন সংকট এবং জ্বালানির উচ্চ ব্যয় মতামতের এ পরিবর্তনে গতি এনেছে।

কিশিদা বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৬ শতাংশ কমাতে আগামী দশকে ১৫০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (১ দশমিক ১৬ ট্রিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।

তিনি "বিকাশবান্ধব কার্বন মূল্য নির্ধারণ" এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প প্রচারের সর্বাধিক ব্যবহারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রোডম্যাপ ২০৩০-এর একটি রূপরেখা দিয়েছেন।