নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৩ জন গ্রেপ্তার

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। ছবি-মুনিরুজ্জামান।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজনের প্রাণহানির ঘটনায় বৃহস্পতিবার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে শরীয়তপুর ও কক্সবাজার জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, কেরানীগঞ্জের মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব (২৩), বরিশাল জেলার মেহেদী হাসান বাপ্পি (২১) ও শরীয়তপুর জেলার মো. মাহমুদুল হাসান সিয়াম (২১)।

র‌্যাবের কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংকালে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আল মঈন বলেন, ডেলিভারি ম্যান নাহিদ হত্যার সঙ্গে বাপ্পী সরাসরি জড়িত।

তিনি বলেন, "বাপ্পি ও সজীব নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডে কর্মচারী হিসেবে চাকরিরত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, রাজধানীর নিউমার্কেটের ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুড এবং ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারীদের মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল ইফতার বিক্রির টেবিল বসানো নিয়ে বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত হয়।"

আল মঈন বলেন, "পরবর্তীতে তারা পরিচিত কিছু দুষ্কৃতিকারীকে মোবাইল ফোন দিয়ে ডেকে আনে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ১০-১৫ জন দুষ্কৃতিকারী এসে ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুড দোকান কর্মচারীদের মারধর করে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ একে অপরের ওপর হামলা চালালে পরের দিন ঢাকা কলেজ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।"

ঘটনার পর বাপ্পী ও সজীব কক্সবাজারে আত্মগোপন করে এবং নিজেদের পরিচয় লুকানোর জন্য লম্বা চুল কেটে ছোট করে এবং কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলে চাকরির চেষ্টা চালায়।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান সিয়াম সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নাহিদকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তিনিও গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান বলে জানান মইন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি নীলক্ষেত মোড়ে নিউমার্কেটের দোকানিদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ ৩০ জনের বেশি আহত হয়।

দোকানিদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা খাবারের দোকানে বিল দিতে অস্বীকার করায় তাদের মারধর করা হয়েছিল।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ১৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের দোকানদারদের মধ্যে সংঘর্ষে এই পাঁচজন সরাসরি জড়িত ছিল।

পরে ওইদিনই তাদের পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয়।