দুর্নীতির অভিযোগে অং সান সুচির আপিল খারিজ করেছে মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্ট

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি'র মুক্তির দাবি জানায়। ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১। (ফাইল ছবি)

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আপিল বুধবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।

আপিল করার সাথে সাথেই সিদ্ধান্তটি এসেছে বলে জানা গেছে এবং আদালত মামলায় উভয় পক্ষের কোনও যুক্তিই গ্রহণ করেনি।

৬ লাখ ডলার মূল্যের নগদ টাকা এবং সোনার বার ঘুষ নেওয়া সহ ১১টি দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গত সপ্তাহে সাজা দেওয়া হয়।

তবে তার আইনজীবী অভিযোগটিকে অযৌক্তিক বলেছেন।

সু চিকে ইতোমধ্যেই সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, কোভিড-১৯ নিয়ম ভঙ্গ এবং একটি টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গ করার অপরাধে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া তাকে আরও অনেক অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫০ বছরেরও বেশি জেল হতে পারে।

গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি গৃহবন্দী আছেন।

অভ্যুত্থানের পর থেকে, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১-এ, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (বার্মা) এর মতে, জান্তা সরকার বিক্ষোভ দমনে অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে, যার ফলে ১,৮০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক মারা যায় এবং ১০,০০০ এরও বেশি গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত কিংবা দণ্ডিত হয়।

[এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস থেকে নেয়া হয়েছে]।