অপতথ্য-সেন্সরশিপ বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে

ভেনিজুয়েলার কারাকাসে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ডে স্মরণে একটি র‌্যালি চলাকালীন একজন মহিলা একটি প্ল্যাকার্ড ধরে আছেন ৷ প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, "কাগজ ছাড়া সংবাদপত্র নেই"৷ ৩ মে, ২০১৬, ছবি- রয়টার্স/মার্কো বেলো

একটি নতুন প্রতিবে্দনে ক্রেমলিনসহ বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী অপতথ্য এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণা বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী স্বাধীন সংবাদের উপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ২০২২ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে প্যারিস-ভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বলেছে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ঘটনা অনেক ভুয়া খবর ও প্রচারণার অবতারণা করেছে।

এই গ্রুপটির বার্ষিক প্রতিবেদনে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশের ভিত্তিতে ১৮০টি দেশের তালিকা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের এই তালিকায় অনেক নিচের দিকে ১৬২ তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছরের তালিকায় বাংলাদেশ ছিল ১৫২ তম অবস্থানে। গত এক বছরে বাংলাদেশের আরও অবনতির অন্যতম কারণ হিসাবে ডিজিটাল সিকিউওরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস অনুসারে, দেশ এবং অঞ্চল ভেদে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স 2022

ঐ ইনডেক্সে রেকর্ড ২৮টি দেশকে "খুব খারাপ মিডিয়া স্বাধীনতা রয়েছে" হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এই গোষ্ঠীতে চীন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা তাদের দেশের বাইরেও সেন্সরশিপ ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিধ্বংসী যুদ্ধে ক্রেমলিনের অপপ্রচারকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এই বছর আরএসএফ বলেছে যে তারা একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, যে পদ্ধতিতে প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক, আইনি, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি, এরকম বিষয়গুলোকে একত্রিত করে নিরীক্ষা করা হয়েছে ।

জার্নালিজম ওয়াচডগ গ্রুপটি বলেছে যে এর ফলাফল উদ্বেগজনক, কারণ দেশগুলোর ভিতর মিডিয়ার মধ্যে গভীর বিভাজন দেখা যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দেশগুলির মধ্যে বিভাজন রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরএসএফ-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ক্লেটন ওয়েইমারস, ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, "এটা সত্যিই অনস্বীকার্য যে মিডিয়া মেরুকরণ এবং তথ্য বিশৃঙ্খলা ২০২২ সালে এসে এমনভাবে সামাজিক বিভাজনে ইন্ধন জোগাচ্ছে যা বেশ নতুন"৷ তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে পক্ষপাতমূলক সংবাদের প্রসার খাঁটি সাংবাদিকতার জায়গা দখল করেছে।