দায়িত্ব পালনকালে যেসব সাংবাদিক মারা গিয়েছেন বা কারাবন্দী হয়েছেন, তাদের প্রতি রবিবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পোপ ফ্রান্সিস। একই সাথে তিনি মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষ সমর্থন করেন এবং গণমাধ্যমে যারা সাহসিকতার সাথে “মানবতার ক্ষতগুলো” নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছেন, তাদের প্রশংসা করেন।
সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশ্যে তার সাপ্তাহিক বক্তব্য ও আশীর্বাদ দেওয়ার সময়ে ফ্রান্সিস এও উল্লেখ করেন যে, ৩রা মে জাতিসংঘের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালিত হবে।
তিনি বলেন, “এই অধিকারের জন্য যেসব সাংবাদিক নিজের জীবন উৎসর্গ করেন তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।” এ সময়ে তিনি গত বছরে ৪৭ জন সাংবাদিকের নিহত হওয়ার এবং ৩৫০ জনের বেশি সাংবাদিকের কারাবন্দী হওয়ার পরিসংখ্যান উল্লেখ করেন।
সংখ্যাটি ইউনেস্কোর দেওয়া সংখ্যার থেকে কম। সংস্থাটি এর আগে এই বছর জানিয়েছিল যে, ২০২১ সালে ৫৫ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। ইউনেস্কো বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসের পৃষ্ঠপোষক।
পোপ বলেন, “তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ, যারা সাহসিকতার সাথে আমাদেরকে মানবতার ক্ষতগুলো সম্পর্কে জানান।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হওয়া সাংবাদিকদের প্রতি গত মাসে শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন পোপ ফ্রান্সিস। সে সময়ে তিনি বলেন, তিনি আশা করেন যেন জনকল্যাণে কাজ করার জন্য তাদেরকে ঈশ্বর পুরস্কৃত করেন।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত করেছে যে ইউক্রেন যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহকালে অন্তত সাতজন সাংবাদিক মারা গিয়েছেন। নিজেদের কাজের কারণে আর কেউ মারা গিয়েছেন কিনা সে বিষয়েও তারা তদন্ত করছেন বলে জানানো হয়।
প্যারিস ভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বলছে, তারা ইউক্রেনে এমন ঘটনা নথিবদ্ধ করেছে, যাতে হাতে “প্রেস” লেখা থাকার পরও কিছু সংখ্যক সাংবাদিককে সরাসরি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ভিরা হাইরিখ নামের রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি (আরএফই/আরএল) এর এক প্রযোজক ২৮ এপ্রিল মারা যান। কিয়েভে তার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়া বিমান হামলা চালালে তার মৃত্যু হয়।
জনগণের ট্যাক্সের অর্থায়নে পরিচালিত, ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার রুশ ও ইউক্রেনীয় ভাষার একটি সংবাদভিত্তিক সংস্থা হল আরএফই/আরএল। ভয়েস অফ আমেরিকাও, ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার একটি অংশ।