তাইওয়ান চীনের কোভিড লকডাউনকে “নির্দয়” অভিহিত করে বলেছে, তারা সেগুলো অনুসরণ করবে না

তাইওয়ানের কিলুংয়ের একটি বাজারে মাস্ক পরা লোকেরা কেনাকাটা করছেন। ২৮ এপ্রিল ২০২২।

কোভিডের বিস্তার রোধে চীনের লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলোকে “নির্দয়” এবং তাইওয়ান সেগুলো অনুসরণ করবে না বলে রবিবার (১ মে) মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রিমিয়ার সু সেং-চ্যাং।

কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং কোয়ারান্টাইনের মাধ্যমে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করার পরে তাইওয়ানে আবার এই বছরের শুরু থেকে অভ্যন্তরীণ সংক্রমণের বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ কোভিডের ওমিক্রন ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশেরও বেশির হালকা বা কোনো উপসর্গ নেই এবং এখন পর্যন্ত মুষ্টিমেয় কিছু মৃত্যু ঘটেছে। উচ্চহারে টিকা প্রদানের ফলে সরকার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে চাইছে এবং ২ কোটি ৩০ লাখ (২৩ মিলিয়ন) মানুষের দ্বীপটিকে ধীরে ধীরে বাইরের বিশ্বের জন্য আবারও খুলে দেওয়ার জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।

অন্যদিকে তাইওয়ানের বিশাল প্রতিবেশী চীন সাংহাইয়ে কঠোর লকডাউন এবং রাজধানী বেইজিংয়ে নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে।

রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্মিত একটি কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বক্তৃতাকালে সু বলেন, তাদের মহামারি-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা “বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে”।

“আমরা চীনের মতো নির্দয়ভাবে দেশ এবং শহরগুলোকে বন্ধ করব না”, তিনি বলেন। তিনি যোগ করেন, তাইওয়ানের পদ্ধতিগুলো “পর্যায়ক্রমে” নেওয়া হয়েছে।

“আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে এবং তার একটি ছন্দ আছে”।

চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দাবি করে এবং মহামারি চলাকালে দুই অঞ্চল কারণে অকারণে বিতর্কে জড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে, চীনের তাইওয়ানবিষয়ক কার্যালয় বলেছে যে, তাইওয়ানের মহামারি মোকাবিলায় নতুন মডেল অনেক মৃত্যুর কারণ হবে।

তাইওয়ানে স্বাভাবিক জীবনযাপম অব্যাহত রয়েছে, যদিও কিছু স্কুল বন্ধ আছে। সরকার কোয়ারান্টাইনের নিয়মগুলো শিথিল করার কথা ভাবছে।

তাইওয়ান বিদেশ থেকে আগতদের ক্ষেত্রে ১০ দিনের আইসোলেশনের নিয়ম চালু করেছে। উল্লেখ্য, এশিয়ার অধিকাংশ দেশ এই নিয়ম প্রত্যাহার করেছে।