রাশিয়ার জ্বালানীর উপর নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে হ্রাস করেছে জার্মানী

জার্মানীর বার্লিনের এক তেল ও গ্যাস স্টেশনের ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ডে জ্বালানীর মূল্য দেখা যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল ২০২২।

জার্মানী রবিবার জানিয়েছে যে, দেশটি রাশিয়ার জ্বালানীর উপর নিজেদের নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে কমাতে অগ্রগতি সাধন করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকেই ইউরোপের বৃহত্তম এই অর্থনীতি এমন কৌশলগত এক পরিবর্তনের কাজে নেমেছে।

বর্তমানে জার্মানীর তেল আমদানির ১২ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করছে, যা কিনা আগে ৩৫ শতাংশ ছিল। জার্মানীর অর্থনীতি মন্ত্রক এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানিও জার্মানীর মোট ক্রয়ের ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে বর্তমানে আট শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে।

গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণেই রয়ে গিয়েছে। তবে, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি রুশ উৎস থেকে বর্তমানে নিজেদের চাহিদার ৩৫ শতাংশ আমদানি করছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে সেটি ছিল ৫৫ শতাংশে।

জার্মানীর সরকার মার্চ মাসে এক পরিকল্পনা পেশ করেছিল। সেটি অনুযায়ী জুনের মধ্যে তেল আমদানি অর্ধেক করার এবং শরৎকালের মধ্যে কয়লার সরবরাহ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল।

২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রাশিয়ার গ্যাসের উপর থেকে জার্মানীর নির্ভরশীলতা অনেকাংশেই কমিয়ে ফেলার বিষয়েও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে ভ্লাদিমির পুতিনকে শাস্তি দেওয়ার পশ্চিমা মিত্রদের প্রচেষ্টায়, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির রাশিয়ার জ্বালানীর উপর নির্ভরশীলতার বিষয়টি একটি দুর্বলতা হয়ে দেখা দিয়েছিল।

তবে, সে সময় থেকেই এই বৃহৎ রফতানিকারক দেশটি রুশ চুক্তিগুলো প্রতিস্থাপন করতে জ্বালানীর বিকল্প সরবরাহ খুঁজতে উঠেপড়ে লেগেছে।